সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি থেকে
রাঙামাটি জুরাছড়িতে মিলছে গ্রীষ্মের ফল তরমুজ। উপজেলায় সামিরা এলাকায় ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে তরমুজ।
আগাম এই তরমুজ চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। বাজারে ভালো বিক্রি হচ্ছে তরমুজ।
গত সোম ও মঙ্গলবার উপজেলা মূল সড়ক, সামিরা ব্রীজ ও শীলছড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এলাকায় তরমুজ নিয়ে বসেছেন কয়েকজন বিক্রেতা।
তরমুজ চাষী রুনা চাকমা বলেন, তিনি নিজেই আগাম লাভের জন্য তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতিদিন কয়েক শ তরমুজ বিক্রি করেন তিনি। ভালো লাভ পেয়ে খুশি রুনা।
রুনা আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলার ছাড়াও সাপ্তাহে ২/৩ বার রাঙামাটি শহরে বিক্রি করতে নিয়ে যান।
মৈদং ইউনিয়নের বারাবান্যা তরমুজচাষি দীপন চাকমা (৩৫) বলেন, তামাকে অনেক কষ্ট, তারপরেও বছর শেষে লাভ পাওয়া যায়না। তাই তামাক চাষ বন্ধ করে আগাম তরমুজ চাষাবাদ করছি। এপর্যন্ত ১ হাজার তরমুজ বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি। প্রতিটি তরমুজ আকার অনুযায়ী ৩-৪ শ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সামিরা বাজারেই কথা হয় পাইকারি ব্যবসায়ী মোঃজাপর সঙ্গে।
তিনি বলেন, ৫শ তরমুজ পঁচাত্তর হাজার টাকায় কিনেছেন। প্রতিটি তরমুজের দাম পড়েছে ১৫০ টাকা। এই তরমুজই এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জুরাছড়ি ইউনিয়নের তরমুজ চাষী পলাশ চাকমা বলেন, ইতিমধ্যে ৭৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। খেতে যে পরিমাণের তরমুজ আছে সেগুলো বিক্রি করলে আরও প্রায় দুই-আড়াই লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে।
উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশিষ চাকমা বলেন, চলতি মৌসুমে অনেক তামাক চাষী তামাক থেকে মূখ ফিরিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তাদেরেদকে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, তরমুজ গুলো খেতে বেশ সুস্বাদু। বাজারে চাহিদা রয়েছে। আগামীতে সফল চাষীদের সহায়তায় উদ্যোগ নেবে প্রশাসন।”