রাঙামাটি নানিয়াচর করুণা বন বিহারের ৯ তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শক্রবার বিকাল হতে শুরু হওয়া ২৪ ঘন্টার ভিতরে চরকায় তুলা কেটে সুতা তৈরি করে কোমর তাঁতের মাধ্যমে তৈরি চীবরটি শনিবার বিকালে করুণা বন বিহার অধ্যক্ষ দীপংকর মহাস্থবিরের হাতে চীবর হস্তান্তর করা হয়।
চীবর দানের দিনের দ্বিতীয় পর্বে মঙ্গলবার বিকালে কল্পতুরু ও কঠিন চীবর মাথায় নিয়ে নেচে গেয়ে চীবর দানে যোগ দেয় হাজারো পুণ্যার্থী।
চীবর দানে পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমুর্তি দানসহ নানান দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এসময় চীবর দান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনভান্তের অন্যতম শিষ্য নানিয়াচর উপজেলার রত্মাংকুর বন বিহারের অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবিরসহ দুই পর্বে অর্ধ শতাধিক বুদ্ধ ভিক্ষু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে শত শত বৌদ্ধ পূর্ণাথী অংশগ্রহণ নেন। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তিন মাস বর্ষাবাসের শেষ দিনে প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের পর দিন থেকে দীর্ঘ এক মাস ধরে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে মাস ব্যাপী ধারাবাহিকভাবে চলে এই কঠিন চীবর দান উৎসব চলবে। ২৩ ও ২৪ নভেম্বর বন বিহার শাখা প্রধান রাঙামাটি রাজবন বিহারে অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নভেম্বর এ দানোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
উল্লেখ্য আড়াই হাজার বছর আগে তথাগত ভগবান বুদ্ধের আমলে বিশাখা নামে একজন পূন্যবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে এই কাপড় বুদ্ধকে দান করেন। এই অনুকরণে ৪০ বছর আগে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে। পরিনির্বাণপ্রাপ্ত বনভান্তে এই অনুষ্ঠানের প্রচলন করেন। সে অনুযায়ী বন বিহার শাখাগুলোতে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়।