রাঙামাটি ঘাগড়া কাউখালি উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের যৌথ খামার এলাকায় জীর্ণশীর্ণ বাড়িতে বসবাস সুরেশ চাকমা ও প্রতি রানী চাকমা দম্পতির। বাড়িতে নেই বসার বা শোবার কোন আসবাব। আসবাব বলতে একমাত্র মাদুর। সেই পরিবারটির পাশে দাঁড়ালেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিকুর রহমান। পরিবারটির জন্য নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র ও কাঁচাবাজার তুলে দেন তিনি।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে অসহায় সুরেশ চাকমার বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্কা মোঃ ফজলুর রহমান, ঘাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দীন, ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান সহ অনেকে।
এসময় সুরেশ চাকমার নাতি কলিন চাকমার পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
গতকাল একটি বেসরকারি টেলিভিশনে অসহায় সুরেশ চাকমার পরিবার নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর আজ প্রশাশনের পক্ষ থেকে সহযোগীতা পেয়ে খুশী পরিবারটি।
স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ১ নাতিকে নিয়ে বসবাস সুরেশ চাকমার। প্রতি রানী চাকমা কানে খুব একটা শোনেন না। ভালোভাবে দেখেন না চোখেও। বিয়ের পর নি:সন্তান সুরেশ দম্পত্তি দত্তক নেয় মেয়ে সাধান রানী চাকমাকে। মেয়েটিও বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। মেয়ে বড় হবার পর অনেক চেষ্টার ফলে বিয়ে দেন। বিয়ের বছর খানেক পর মারা যান মেয়ের স্বামীও। এর মধ্যে জন্ম নেয় একটি পূত্র সন্তান। এই চারজনের সংসার দু:খই যেন তার নিত্য সঙ্গী।
এসব সহযোগীতা দেওয়ায় পরিবারটি ও স্থানীয়রা ধন্যবাদ জানান প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের।