রামগড় উপজেলা সদরের খান কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে অবৈধ VOIP (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) কার্যক্রমের অভিযোগে দুই চীনা নাগরিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রামগড় থানা পুলিশ। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। আজ শনিবার তাঁদের গ্রেফতার দেখিয়ে খাগড়াছড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রামগড় থানা পুলিশ জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থানের জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। এ অনুমতি ছাড়াই দুই চীনা নাগরিক রামগড়ে অবস্থান করছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে পুলিশ ওই কক্ষে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় কক্ষটিতে রাখা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে ঢাকা থেকে বিটিআরসির বিশেষজ্ঞ দল এসে ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করে VOIP–এর অবৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
অভিযানে কক্ষটি থেকে সিমবক্স, রাউটার, কানেকশন প্যানেল, অ্যান্টেনা, NVR মেশিন, POE সুইচসহ প্রায় ৬০টির বেশি ডিভাইস জব্দ করা হয়। এসব ডিভাইস ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন জালিয়াতি চালানো হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বিটিআরসি। এতে সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতি ও তথ্য গোপন করে জালিয়াতি করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
গ্রেপ্তার চীনা নাগরিকরা হলেন জিয়াং চেংটং (৩৩) এবং তাং তংউ (৩২)। তারা চট্টগ্রামের খুলশী আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। একই মামলায় তাদের সহযোগী চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর মো. আসিফ উদ্দিন (২৫) কেও গ্রেপ্তার করা হয়।এনফোর্সমেন্ট এন্ড ইন্সপেকশন ডিরেক্টরেট, বিটিআরসির উপ-সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধনী ২০১০)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করেছেন।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, জব্দ করা সরঞ্জামগুলো অবৈধ কলরাউটিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছিল বিটিআরসি তা নিশ্চিত করার পরই মামলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি নাগরিক বসবাসের কোন অনুমতি তাদের ছিলোনা। গ্রেপ্তার তিনজনকে শনিবার (১৫ নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।


















