আজগর আলী খান, রাজস্থলী।
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই অটল ৫৬ বেঙ্গল কাপ্তাই জোনের জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আনোয়ার জাহিদ পি এস সি, বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য জীবনবাজি রাখতে সর্বোত দায়বদ্ধ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর ‘অপারেশন উত্তরণ’-এর আওতায় সেনাবাহিনী পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা বিধানে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতার মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য এবং নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এগিয়ে নেয়ার এখনই সময়।
সোমবার সকাল ১০ টায় বাঙালহালিয়া সাব জোন কর্তৃক আয়োজিত হেডম্যান কার্বারী সম্মেলনে কাপ্তাই জোনের জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল আনোয়ার জাহিদ পি এস সি,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উল্লেখিত কথা গুলো বলেন।
সভায় জোন কমান্ডার কাপ্তাই জোনে দায়িত্বকালীন সময়ের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, সরকারের আন্তরিকতায় পাহাড়ে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সাধিত হচ্ছে, তা ধরে রাখা এবং এগিয়ে নেয়া সবার দায়িত্ব। যারা এসব ইতিবাচক তৎপরতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে অলীক স্বপ্ন দেখছেন; তাদের জন্য কোন সুখবর নেই। বরং সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের মোকাবিলায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে। পাহাড়ে অবৈধ কাঠ পাচারকারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের কাঠ পাচার রোধে যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করি। পার্বত্য রাজস্থলীতে শান্তি ফিরে আনতে হলে পাহাড়ী বাঙালী সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসীদের আস্তানা জ্বালিয়ে দিতে হবে। নইলে এ পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস কোন দিন ফিরে আসবে না।
এ সময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নবাগত জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল নুর উল্লাহ জুয়েল, পি এস সি, বাঙালহালিয়া ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর নাজমুল আরেফিন, অনারেবল লেঃ জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মাসুদুল আলম, চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বাজার চৌধুরী থোয়াইসুইখই মারমা, সাংবাদিক আইয়ুব চৌধুরী সহ হেডম্যান, কার্বারী মেম্বার ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।