খাগড়াছড়ি জেলার সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, উনিশ’শ সাতানব্বই সালে ঐতিহাসিক ‘শান্তিচুক্তি’র পর পাহাড়ে সাম্প্রদায়িকতা আর মিথ্যাচারের ধুয়া তুলেছিলো। বলেছিলো, চুক্তি’র পর পাহাড়ে বাঙালিরা থাকতে পারবে না। মসজিদের উলধ্বনি হবে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশে এসে বলা শুরু করলো, ‘পদ্মা সেতু নড়বড়ে। এটি দিয়ে চলাচল অনিরাপদ। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়বে’।
এসব অলুক্ষণে দেশের কল্যাণ বিরোধী কথা বলা সেই বিএনপি’র নেতারাই এখন পদ্মা সেতু দিয়েই পারাপারের মজা নিচ্ছেন। তাই আগামী ইলেকশনে দেশবিরোধী এই অপশক্তিকে ভোটের মাধ্যমে মোকাবিলা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালা উপজেলার কবাখালীতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে বানানো দুটি মসজিদ এবং নয়মাইল ত্রিপুরা ও ‘মুকুন্দ-নীলিমা ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’র নতুন ভবন উদ্বোধনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় পৃথক চারটি সমাবেশে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ’র সাবেক চেয়ারম্যান নবকমল চাকমা, ‘মুকুন্দ-নীলিমা ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’র ভূমিদাতা প্রবীন শিক্ষানুরাগী মুকুন্দ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া ও শতরুপা চাকমা, নয়মাইল ত্রিপুরাপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল’র প্রধান শিক্ষক তপু ত্রিপুরা, কবাখালী ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ’র যুগ্ম-সা. সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য শাহিনা আক্তার, দীঘিনালা সরকারি কলেজ’র উপাধ্যক্ষ তরুণ চাকমা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন’র সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি বিউটি রানী ত্রিপুরা ও বিলকিছ চৌধুরী, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র সাবেক সা. সম্পাদক আবু দাউদ, দীঘিনালা প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাজুসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘কবাখালী জালালাবাদ জামে মসজিদ’ ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুসলিমপাড়া জামে মসজিদ, ৫০ লক্ষ টাকায় বানানো ‘মুকুন্দ নীলিমা ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের একাডেমিক ভবন এবং ৬০লক্ষ টাকা ব্যয়ে নয় মাইল ত্রিপুরাপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্ধোধন করেন।