রাঙামাটিতে দুই বিশিষ্ট গুণীজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনীত রাঙামাটির সংসদ-সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং বাংলা একাডেমির সাহিত্য (নাট্য) পুরস্কারে ভূষিত কবি ও সাহিত্যিক মৃত্তিকা চাকমা।
শনিবার বিকালে রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সংর্ধনার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পার্বত্য শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট।
সংগঠনটির উপদেষ্টা দীপক বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, পার্বত্য শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহায়ক ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা সুশীল প্রসাদ চাকমা, চাকমারাজ পরিবারের বর্ষিয়ান সদস্য চাঁদ রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বৌদ্ধ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আনন্দ মোহন চাকমা।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন কবি শিশির চাকমা, মনির আহমেদ, জগৎজ্যোতি চাকমা, কারবারি (গ্রামপ্রধান) হীরালাল চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক আনন্দ জ্যোতি চাকমা ও কিকো দেওয়ান। অনুষ্ঠানে সংসদ-সদস্য দীপংকর তালুকদার ও বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমাকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
কবি ও নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমা বলেন, বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার তার একক কৃতিত্বের নয়- এ গৌরব গোটা পার্বত্যবাসীর। তার এ পুরস্কার সাহিত্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার বলেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত কবি ও সাহিত্যিক মৃত্তিকা চাকমা একক কোনো জাতিগোষ্ঠী বা শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের নয়- তিনি একজন সারা দেশের জাতীয় গুণীজন। তার মেধাকে অনুসরণ করে ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আরও বহু প্রতিভাবান গুণীব্যক্তি উঠে আসবেন বলে আমার বিশ্বাস।