ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই প্রতিনিধি।
নৌকার মতো দেখতে ছোট নৌযান কায়াক। দেশের বাইরে কায়াকিং খুব জনপ্রিয়। তবে কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে কোথাও কায়াকিং করা হতো না।
এ দেশের মানুষদের প্রথমবারের মতো কায়াকিং করার সুযোগ করে দিয়েছে ‘কাপ্তাই কায়াকিং ক্লাব’।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে কায়াক চালানোর ব্যবস্থা করেছে কাপ্তাই কায়াক ক্লাব।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিনোদন কেন্দ্র প্যানারোমা জুম রেস্তোরাঁ থেকে মাত্র ১০০ মিটার সামনেই কাপ্তাই সড়কের পাশে কর্ণফুলী নদীর কোল ঘেঁষে কাপ্তাই কায়াক ক্লাবের অবস্থান। তৎকালীন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল আলম , সাবেক রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী মোঃ রুবাইয়েত আখতার চৌধুরী , বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী সহ কাপ্তাই উপজেলা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিত থেকে ২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কাপ্তাই কায়াক ক্লাবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর হতে কায়াকিং করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে পর্যটকরা ভীড় করছেন এই কায়াকিং ক্লাবে। পর্যটকরা কায়াকিং করতে করতে কর্ণফুলি নদীর কয়েক কিঃ মিঃ পর্যন্ত চলে যাচ্ছে।
কাপ্তাই কায়াকিং ক্লাবের অন্যতম উদ্যোক্তা মোঃ ওবাইদুল্লাহ জানান, কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীর স্বচ্ছ জলে রোমাঞ্চকর কায়াকিংয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে কাপ্তাই কায়াকিং ক্লাব। বাংলাদেশে এডভেঞ্চারে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে এই কায়াকিং। করোনাকালীন সময়ে কিছুটা পর্যটক কম আসলেও করোনার প্রভাব কমে আসায় এখন প্রতিদিন ভ্রমনপিপাসুরা এসে কর্ণফুলী নদীতে কায়াকিং করছেন।
কায়াকিং করতে আসা চট্টগ্রাম লালখান বাজারের বাসিন্দা ইমন, আকিব, সুজন জানান, কর্ণফুলী নদীর নীল জলরাশী এবং সীতা পাহাড় এর অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে কায়াকিং করলাম। আনন্দে আপ্লুত হলাম। সতিই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
কাপ্তাই ফোরামের এডমিন সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিব রেজা লিমন জানান, “কাপ্তাই কায়াকিং ক্লাব” কাপ্তাইয়ের পর্যটন শিল্পকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা চাই কাপ্তাইয়ের পর্যটন শিল্প আরোও বিকশিত হউক।
বেসরকারী পর্যটন কেন্দ্র বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ রুবাইয়াত আখতার চৌধুরী জানান, রুপসী কাপ্তাইয়ের পর্যটন শিল্পের ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে কাপ্তাই কায়াকিং ক্লাব।