মানিকছড়ি বায়তুর নুর জামে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে দুই পক্ষ বক্তব্য দিয়েছেন।
একপক্ষের বক্তব্যে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ তুলে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে জনৈক আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে। ‘মালেক নিজে বিক্রি করা জমি বুঝিয়ে না দিয়ে বিষয়টি ভিন্নখাতে নিয়ে এ হয়রানী করছে’ এমন অভিযোগ করেছেন মানিকছড়ির স্হানীয় বাসিন্দা ছগির আহম্মদ।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবদুল মালেক। তাঁর দাবি এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সম্প্রতি মানিকছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী কার্যালয়ে বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করেন ছগির আহম্মদ। সেখানে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ তুলে ছগির আহম্মদ বলেন, ‘আমরা ৪ যুগেররও বেশী সময় ধরে বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করে আসছি। আমাদের বসতির অনেক বছর পর মসজিদ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এ মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ তুলে মালেক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে বিষয়টি নিষ্পিত্তি হয় এবং জায়গা দখলের কোন প্রমাণ পায়নি প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপরও মালেক নানান ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে’।
এলাকার বশির আহম্মদ (৫৬) ও নুরুল ইসলাম সওদাগর (৫০) বলেন, ‘মালেক বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক যে সব অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে এগুলো ছগির আহমদ পরিবারকে হয়রানী করতে এসব করছে বলে আমরা মনে করি’।
মসজিদ কমিটির সদস্য সোনামিয়া (৫৫) বলেন, ‘ছগির আহমদের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলের যে অভিযোগ মালেক তুলেছে তা সত্য নয়। মসজিদের জমি মসজিদের আছে। ছগির পরিবার তাদের জমিতে আছে। এখানে কোন দখল বা বিরোধের বিষয় নেই। মালেক কি কারণে এসব কাজ করে যাচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারছি না’।
ছগির আহমদ বলেন, ‘আমার ভাই প্রবাসী আব্দুল মান্নান ৫০ শতক জমি মালেক থেকে ক্রয় করে। ওই জমির সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু সে জমির রেজিস্টারী দিচ্ছে না আব্দুল মালেক। জমি রেজিস্টারী দিতে অনেক তালবাহানা করে আসছে আব্দুল মালেক। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন সবাই অবগত আছেন। সম্ভবত জমির রেজিস্টারী না দিতে আমাদের এ হয়রানী করছে মালেক’।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল মালেক বলেন, ‘প্রবাসী মান্নান ও তার ভাই ছগির আহম্মদ মানিকছড়ি কাঠ ব্যবসায়ি সমিতিতে আমাকে নিয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার কোন ভিত্তি নাই। তারা আমার ও সবুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই’।
মালেক বলেন, ‘ছগির ভুমিদুস্যু। সে মানিকছড়ি কিন্ডার গার্ডেনের জমি বিক্রি করেছে টাকা আত্মসাৎ করেছে। যে জমি বিক্রির কথা তুলেছে তা সত্য তবে মান্নান টাকাগুলো পরিশোধ করেনি। ভেঙে ভেঙে কিছু টাকা দিয়েছে। আরো ৫ লাখ ৭৫০০০ টাকা পাব’।
তিনি বলেন, ‘ছগির মসজিদের জমিতে ঘর করেছে’।