আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি”-র ঢাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি’র) রাঙামাটি জেলা শাখা।
রাঙামাটি পৌরসভার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপায় সমাবেশে মিলিত হোন, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলার সহ-সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলার উপদেষ্টা মো: কামাল উদ্দিন, পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, পৌর সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে “স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি” কর্তৃক আয়োজিত শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতার নাম দিয়ে ব্যানার ব্যবহার করে পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)র সন্ত্রাসীরা এই নৃশংস হামলার ঘটনা অত্যান্ত পরিকল্পনামাফিক ঘটিয়েছে। উপজাতি সন্ত্রাসীরা বিনা উস্কানিতে প্রথমে হামলা করে এবারও ভিকটিম কার্ড খেলছে, এই বর্বর হামলায় ১৬ জন দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। অথচ উপজাতি সন্ত্রাসীরা সিম্পতি নেওয়ার জন্য এখন তারা আহত হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের সহযোগিতা করছে বাম সংগঠন ও বামপন্থী মিডিয়া। উপজাতি সন্ত্রাসীরা যে কোনো হামলার ঘটনায় সর্বপ্রথম তারাই ঘটায়, যখন আত্মরক্ষা করে বাঙালিরা তখন তাদের উপর হামলা হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে ভিকটিম কার্ড খেলে এই অভিনব কৌশলী সন্ত্রাসীরা। এতে করে প্রতিবারই দেশের মানুষের চোখে ধুলা দেয় উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
পিসিসিপি’র নেতৃবৃন্দ বক্তবে বলেন, “স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি” দীর্ঘদিন ধরে দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতি, ও শিক্ষা ব্যবস্থার শুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পন্থায় আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু পিসিপি নামক দেশবিরোধী একটি উপজাতি উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠন তাঁদের এই বৈধ কর্মসূচিতে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানচ্ছে এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি আহত দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।
জাতীয় সংহতি ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে এই দেশ ভাগের সূদুর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদিবাসী দাবির ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে পিসিসিপি। পার্বত্য চুক্তিতে উপজাতি হিসেবে স্বাক্ষর করে ২০০৭ সাল থেকে দশ বছর পরে এসে নতুন করে আদিবাসী দাবি করার পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।