বৃহস্পতিবার , ২০ জুলাই ২০২৩ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

বর্ষার বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে ফইরা মুরং ঝর্ণায়

প্রতিবেদক
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই, রাঙামাটি
জুলাই ২০, ২০২৩ ২:৩৪ অপরাহ্ণ

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এর পাগলী উপর পাড়ায়   ফইরা মুরং ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসুদের  দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

এর আশেপাশে ছোট বড় কয়েকটি ঝর্ণা।  ঝর্ণা হতে অবিরাম ধারায় পানির প্রবাহমান ধারা,  পাখির  শব্দ এবং পাহাড়, বন বেষ্টিত এই ফইরা মুরং ঝর্ণা  যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি, তাই প্রতিদিন ভীড় লেগে আছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বিশেষ করে বর্ষায় নবরুপে প্রাণ ফিরেছে এই ঝর্ণার।

এলাকার বাসিন্দা সংগীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার শিক্ষক সূর্য্যসেন তঞ্চঙ্গা  জানান, আমরা দাদুদের মুখ থেকে শুনেছি  আজ হতে শত বছর আগে এই পাহাড়ে এক সাধক বা ফকির ধ্যান করতো, লোকজন পুজা দিতো, মানত করতো, ফকির ধ্যান করতো বলে স্থানীয়রা একে ফইরা মুরং ঝর্ণা নামে ডাকে।

ঘাঘড়া – বড়ইছড়ি সড়কের বটতলি এলাকার পূর্ব পাশ ধরে  ৩ কিমি পাহাড়ী পথ আর ছড়া পাড় হয়ে এই স্থানে পৌঁছানো যায়। আশেপাশে কয়েক শ তঞ্চঙ্গা পরিবারের বসবাস।  পথেমধ্যে পাগলি মুখ পাড়া, পাগলি মধ্যম পাড়া গ্রাম পার হয়ে পাগলি উপর পাড়া এই ঝর্নার দেখা মিলবে। এই স্থানে যেতে যেতে আরোও পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় হতে বয়ে চলা ছড়ার পানির বহমান ধারা, আশেপাশে অনেকগুলো পাহাড়ী গাছ গাছালি এবং ছোট ছোট ঘর।

বুধবার (১৯ জুলাই)   ঝর্ণা দেখতে আসা কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে জানান, এই ঝর্ণায় আসার পথে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ছোট ছোট ঘর, ঝিরি হতে বয়ে যাওয়া হীমশীতল পানি সত্যিই উপভোগ্য। তিনি আরোও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ব্যাজ ট্যুরিজম এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের আত্মসামাজিক উন্নয়ন এর যেই পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন, তারই আলোকে এই ফকির মুরং ঝর্ণার সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে উপজেলা প্রশাসন হতে অবকাঠামোগত নির্মাণ করে এই ঝর্ণাকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তোলা হবে।

এই ঝর্ণা দেখতে যাওয়া কাপ্তাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমকর্তা রুহুল আমিন  বলেন, এই ঝর্ণায় আসার পর ঝর্ণার দিকে তাকালে সত্যি প্রাণটি ভরে যায়।

ঝর্ণা দেখতে আসা পর্যটক খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ ও ঝিমি চাকমা বলেন, অপুর্ব এই ফকিরা মুরং ঝর্ণা যেন প্রকৃতি দেবীর অপুর্ব নির্দশন। বিশেষ করে ঝর্ণায় আসার সময় ঝিরিঝিরি শব্দে পানির প্রবাহনধারা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।

১০০ নং ওয়াগ্গা মৌজার হেডম্যান অরুণ তালুকদার বলেন, স্থানীয় ভাষায় এটা ফইরা মুরং ঝর্ণা নামে পরিচিত। যদি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে এখানে উন্নয়ন করা হয় তাহলে পর্যটকের আগমন আরোও বাড়বে।

এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য তপন তনচংগ্যা জানান, এই ঝর্না দেখতে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে আমরা মাঝে মাঝে দেখতে পাই অনেক পর্যটক নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করে এবং আশেপাশে মানুষের ফলমূল নষ্ট করে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ হতে এসব কাজ হতে বিরত থাকতে পর্যটকদের অনুরোধ জানাই এবং পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই যেন এই ঝর্নায় আসার পথটুকু আরোও মেরামত করে দেয় এবং এখানে ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: