খাগড়াছড়ির সহিংস সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাঙামাটির সর্বস্তরের প্রশাসন ও জনগণ। তারই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটিতে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং শহরের মধ্যে সচেতনতামূলক মাইকিং করেছন সেনাবাহিনী।
এদিকে খাগড়াছড়ির সহিংস ও সংঘর্ষের ঘটনা যেন রাঙামাটিতে ছড়িয়ে না পরে সে লক্ষে জরুরি সভা করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ। এদিকে রাঙামাটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথাযথ বজায় রাখতে মাঠে আছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার ভিডিপি সদস্যরাসহ সকল পাহাড়ি বাঙালি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। সবার একটাই ভাষ্য খাগড়াছড়ির বাতাস যেন রাঙামাটিতে না বয়। পাহাড়ি বাঙালি সবাই রাঙামাটিতে শান্তি চায়।
অপরদিকে রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার, সদর জোন কমান্ডার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পাহাড়ি বাঙালি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, গুটি কয়েকজন লোক খাগড়াছড়ির পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছে। আমরা চাই না খাগড়াছড়ির অশুভ শক্তি রাঙামাটিতে এসে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে। এখানে পাহাড়ি বাঙালি সবাই মিলেমিশে একসাথে বসবাস করতে চাই। কেউ গুজবে কান দেবেন না। ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়ানো ছিটানো মিথ্যা তথ্য শেয়ার করবেন না। রাঙামাটির প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছেন। অন্যায় দেখলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। না বুঝে না শুনে কোন খবর বা মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ফেইসবুকে শেয়ার করবেন না।
রাঙামাটি শহরে আদালত পাড়া, জেলা প্রশাসন কার্যালয়, কলেজগেইট, এসপি অফিস,বাণিজ্যিক কেন্দ্র বনরুপা, রিজার্ভ বাজার,তবলছড়ি, মানিকছড়ি, পৌরসভা এলাকার সবকয়টি পুজা মন্ডবে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের মধ্যে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহল দিতে দেখা গেছে। জেলার ১০ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থায় ছিলেন। সবাই শান্তির পথে সভা ও মতবিনিময় করছেন।
এদিকে জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানারে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে অহেতুক ঢাকা সড়ক অবরোধে রাঙামাটিতে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। শহরে মধ্যে সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাঙামাটির পরিস্থিতি ভাল ছিল এবং কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে খাগড়াছড়ির ঘটনায় রাঙামাটি পুরো শহর থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। রাঙামাটির অফিস আদালতে ও হাট বাজারে উপজাতি সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম।