বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদকোয়ান্টামের প্রবীণ সেবা কার্যক্রম নিয়ে আগামী দিনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
১৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বান্দরবানের লামা সেন্টারে প্রবীণ সেবার ২৫ জন কর্মীর সাথে মত-বিনিময় বৈঠকে অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদ এ আশার কথা জানান।
এ সময় তিনি আরো বলেন,জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই সেবার মাধ্যমে মমতার ছোঁয়া পাচ্ছেন কিছু প্রবীণরা। ফলে তারা আগের চেয়ে ভালো আছেন। আসলে প্রবীণদের কষ্ট গুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তাই সেবা দেয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে নিজের মতো করে নয়, যে প্রবীণের সেবা দিচ্ছি তার প্রয়োজন বুঝে তার সুবিধামতো সেবা দিতে হবে। এ কাজটি প্রবীণ সেবার এই সেবকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিকেলে ডা. নিজামউদ্দিন ও তার স্ত্রী ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমীনা বেগম নির্মাণাধীন মাতৃমঙ্গল ও প্রবীণসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।
বান্দরবান লামার সরই ইউনিয়নের ৪২ জন অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে নিয়মিত যত্ন, চিকিৎসা ও পরিচর্যার কাজ করছেন এই কার্যক্রমের কর্মীরা। বর্তমানে এই সেবার আওতায় সেবা পাচ্ছেন ৩৬ জন প্রবীণ।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কো-অর্গানিয়ার সৈয়দ আল আমিন প্রেস বার্তায় জানান, শুরু থেকেই প্রবীণ সেবার সাথে পরামর্শক হিসেবে সম্পৃক্ত আছেন দেশের প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবার প্রাতিষ্ঠানিক রূপকার অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদ। প্যালিয়েটিভ কেয়ার হলো চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে একটি নতুন ধারা। নিরাময়-অযোগ্য রোগে আক্রান্ত মানুষের জীবনের অন্তিম দিনগুলোকে শান্তিময়, স্বস্তিকর ও অর্থবহ কওে তোলা এই সেবার মূল উদ্দেশ্য।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বহুমুখী সেবা কার্যক্রমের মধ্যে প্রবীণ সেবা ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও ২০১২ সালে বান্দরবানের রাজবিলায় শুরু হয়েছিল বৃদ্ধাশ্রম ‘আশ্রয়মম’। কিন্তু অনেক প্রবীণকেই পাওয়া যায় যাদেরকে দেখাশোনার কেউ থাকে না, তবু তারা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে কোথাও যেতে চান না। তাই অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরকে তাদের নিজেদের বাড়িতে গিয়ে নিয়মিত যত্ন, খাদ্য, চিকিৎসা, খাবার খাইয়ে দেয়া এবং পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রবীণ সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা।