রাঙামাটিতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ি ও মাদকসেবীরা। তবে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও অভিযান শুরু করেছে।
এরইমধ্যে শহরের জিমনেসিয়াম এলাকা থেকে মাদক সম্রাট ও মাদক চক্রের সিন্ডিকেট সদস্য খোকন(৩০)কে আটক করেছে রাঙামাটি ডিবি পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, খোকনের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বিক্রির দায়ে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে বহুবার আটক করে কোতোয়ালী থানায় মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও থামেনি তার অসামাজিক কার্যকলাপ। খোকনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়ে। সে গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী তৌহিদকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। আজ বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে শহরের ভেদভেদি এলাকা থেকে গত কয় মাস আগে আবুল কালামের ছেলে মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছেন চট্টগ্রাম র্যাব -৭। বর্তমানে সে ও তার ২ সহযোগি জেলহাজতে আছেন। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়াবা ও মাদক মামলায় এক ডজনের ও বেশী মাদক সেবনকারী জেলহাজতে আছেন।
এদিকে জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে মাদকের বিরুদ্বে অভিযানে নামেন রাাঙামাটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। রাাঙামাটি জেলা সদরে যে সকল এলাকায় মাদকসেবীরা আড্ডা জমায়-রিজার্ভ বাজার পুড়া পাহাড়,কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, রিজার্ভ বাজারস্থ স্কাউটস ভবন, নতুন বাস ষ্টেশন, ফিসারি ঘাট, পাবলিক হেলথ, ষ্টেডিয়ামের নিচে,জিমনেশিয়াম মাঠ, হাসপাতাল এলাকা, ভেদভেদি সড়ক ও জনপথ গোডাউন এলাকা, শিমুলতলী, তবলছড়ি মিনিষ্টার ক্লাব, পর্যটন এলাকা ও আসামবস্তী ব্রিজের নিচে।
স্হানীয়রা বলছেন, মাদক ব্যবসায়ি ও মাদকসেবীদের ধরতে পুলিশসহ অন্যান্য এজেন্সিগুলো যদি যৌথভাবে কাজ করে তাহলে রাঙামাটি জেলা মাদক মুক্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কিছু পচা লোক আছে যারা এসব নোংড়া কাজের সাথে জড়িত। তারা মাদক সেবন করে আবার দেখা যায় তাদের পছন্দসই যুবক দিয়ে এর ব্যবসাও করে। দলীয় লোকজন এসব কাজের সাথে জড়িত থাকলে দেখা যায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের ধরতে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। এধরনের ঘটনা সমাজে অহরহ ঘটছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, আপনারা সম্প্রতিক দেখেছেন, রাঙামাটি শহর হতে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর ধরা হয়েছে। এতে সবার সহযোগিতা ছিল।
ওসি আরও বলেন, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ পিপিএম(বার) মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে অভিযান শুরু করা হবে। পুরাতন মাদক মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের গ্রেফতার করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খোকন ও তৌহিদুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক মামলায় তৌহিদ সাজাপ্রাপ্ত আসামী।