খাগড়াছড়ির রামগড়ে সরকারি ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরবর্তী অর্ধশত গবাদি পশু মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে অসুস্থ ও মৃত পশুর শরীর থেকে নমুনা (স্যাম্পল) সংগ্রহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে রামগড় ইউনিয়নের লামকুপাড়া গ্রামের খামারি ও গবাদি পশু লালন-পালনকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব নমুনা সংগ্রহ করেছে তদন্ত দল।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি সাইন্টিফিক কর্মকর্তা ডা. জপু চক্রবর্তী ও ডা. তাহমিনা আক্তার, খাগড়াছড়ি জেলা ভারপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম, উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল এবং উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রুবায়েতুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম জেলা ভেটেরিনারি সাইন্টিফিক কর্মকর্তা ডা. জপু চক্রবর্তী বলেন, ‘এমন ঘটনা এর আগে কোথাও ঘটেনি। আমরা অসুস্থ ও মৃত পশুর স্যাম্পল সংগ্রহ করেছি। এগুলো ঢাকার সেন্টার ভেটেরিনারি ল্যাবে পাঠানো হবে। এর পর জানা যাবে আসলে কি ঘটেছিল।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে স্যাম্পল সংগ্রহ করেছি। ঘটনার করণীয় বিষয়ে পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে। অসুস্থ পশুগুলোকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে ওইসব পশুগুলোও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে তিনি জানান।
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রুবায়েতুল ইসলামের পরামর্শে তার দুই সহকারী জামাল উদ্দিন ও রমজান রামগড়ের লামকুপাড়া গ্রামের গবাদি পশুর শরীরে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়। একদিন পর থেকে ওইসব পশুর শরীরে জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে প্রায় অর্ধশত গরু-ছাগল মারা যায়। অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে আরো অর্ধশতাধিক।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে খামারি ও গবাদিপশু পালনকারীরা গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে মৃত ও অসুস্থ গরু-ছাগল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।