“পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি তথা আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত প্রতিক্রিয়াশীল, সুবিধাবাদী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলুন” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে চারদিন ব্যাপি ১৩-তম জাতীয় কংগ্রেস মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি শহরে শেষ হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তিন দিনব্যাপী জাতীয় সন্মেলনের সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সদস্য থুইলাঅং মারমা।
এতে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আরাধ্যপাল খীসা, বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অংশুমান চাকমা, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি চাকমা ও সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমা।
পরে বিদায়ী কমিটির সভাপতি ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় কমিটির প্যানেল ঘোষণা করেন। ঘোষনার পর উপস্থাপিত প্যানেল কমিটির ব্যাপারে কারোর কোন দ্বিমত না থাকায় উপস্থিত প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা হাত তুলে অনেমোদন করেন।
এতে, মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমাকে সভাপতি, অংশুমান চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও সুধাকর ত্রিপুরাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষনা করা হয়। গঠনতন্ত্র মোতাবেক এ কমিটি আগামী ৩ বছর দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আরাধ্যপাল খীসা ও সাধারণ সম্পাদক সিন্দু কুমার চাকমা, রাঙামাটি আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক সুরেশ কান্তি চাকমা ও সদস্য সচিব জুপিটার চাকমা, কেন্দ্রীয় যুব সমিতির সভাপতি জ্ঞান প্রিয় চাকমা ও পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুজন চাকমা ও সোহেল চাকমা।
উল্লেখ্য, তিন দিন ব্যাপী জাতীয় সম্মেলনে প্রতিনিধি ১’শ ৫০ জন ও পর্যবেক্ষক ২’শ ৮০ জন অংশ গ্রহণ করেন।