‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গনতর রক্ষাকবচ’ প্রতিপাদ্যে রাঙামাটিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
আজ (বুধবার,১২ নভেম্বর ) সকালে রাঙামাটির পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার সুশীল সমাজের নাগরিকরা অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতেয়ার, ইন্টুমনি তালুকদার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন -দেশের এক-দশমাংশ অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে অবহেলিত।এখানকার জনগোষ্ঠী ও ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া রাষ্ট্রের গনতান্ত্রিক রূপান্তরে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যার বলেন -‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। তাই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নাগরিক সংলাপে সুজন সব সময়ই গুরুত্ব দিয়ে আসছে’।
তিনি বলেন- ‘বিগত সময়ে সুশাসনের অভাব ও নির্বাচনী ব্যবস্হা ভেঙে পড়ায় দেশে সংকট তৈরি হয়েছে। সুজনের প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ ঐকমত্যের ভিত্তিতে চুড়ান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে’।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। পরে একটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদে গিয়ে শেষ হয়।


















