পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত বিভাগগুলোর মাধ্যমেই পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প নিলে তা বেশি কার্যকর হবে। কৃষি, মৎস্যসহ সবগুলো বিভাগই জেলা পরিষদের অধীনে কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ে মানুষের সাথে তাদের যোগাযোগ বেশি। আর উন্নয়ন বোর্ড রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবে। তাই উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হবে’।
আজ (২৫ মে) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, কর্মকর্তা এবং হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পার্বত্য অঞ্চলকে যদি শান্তি, উন্নতি, সমৃদ্ধি করতে হয় তাহলে পার্বত্য অঞ্চলকে নিয়ে বিশেষ ভাবনা ভাবতে হবে। কারণ দেশের একদশমাংশ অঞ্চল পার্বত্য এলাকাকে জাতীয় স্রোতধারার সাথে যদি মেলাতে পারে, শিক্ষাদিক্ষা, উন্নয়ন সব ক্ষেত্রে। তাহলে এ অঞ্চল দেশের জন্য সবচেয়ে একটি সম্পদশালী এলাকা হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
পার্বত্য মন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিচুক্তি নিয়ে হতাশার কিছু নাই। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে। সেভাবেই ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। তাই অল্প সময়ের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট, উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সমৃদ্ধশালী হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এগুলো চুক্তির ফসল’।
বীর বাহাদুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন চান। এই বিশেষ অঞ্চলকে উন্নয়নের জন্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদ সৃষ্টি করেছেন। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এটা নিয়ে সাবধান থাকতে হবে। রাজনৈতিক তদবির করবেন না। মেধাবিরাই নিয়োগ পাবে। মেধাশূণ্য প্রজন্ম চাই না’।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(উন্নয়ন) সত্যেদ্র কুমার সরকার ।
সভায় রাঙা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের স্ব স্ব দপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।