রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে অগ্নিকান্ড ঘটনা ঘটেছে। এতে উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প অফিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বাঘাইছড়ি সদর উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনেস্থ উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপকের কার্যালয়সহ বেশ কয়টি কোয়াটার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে উপজেলা প্রকল্প কার্যালয়ের জরুরী ডকুমেন্ট এবং অফিসিয়াল কাগজপত্র পুড়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘাইছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (এসএস সিএইচটি) কার্যালয়ে অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বলেন, আগুনের বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে প্রশাসনকে জানানো হয়। পরে খবর পেয়ে বাঘাইছড়ি থানার পুলিশ, বিজিবি এবং স্থানীয়দের সহায়তায় এক ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বাঘাইছড়িতে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন না থাকায় দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওসি বলেন, আগুন লাগার সময় কোয়াটারের বা কার্যালয়ে কেউ ছিলো না। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট বা চুলার আগুন হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে বলে ধারণা করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, এনিয়ে বহুবার বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ডেরঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন না থাকায় অগ্নিকান্ডে নিদারুন ক্ষতির মূখে পড়ে ভুক্তভোগিরা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুনেছি বাঘাইছড়িতে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন বরাদ্দ হয়ে জমি ও ক্রয় করা হয়েছে। মানুষের আর কত ক্ষয়-ক্ষতি হলে বাঘাইছড়িতে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন করা হবে?
বাঘাইছড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ও ফায়ার সার্ভিস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে রাঙামাটির ফায়ার সার্ভিস এর সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, বাঘাইছড়িতে ফায়ার সার্ভিসের জন্য জমি ক্রয় করা হয়েছে কিন্ত এখনো বাকি কাজে আমরা হাত দিতে পারিনি। তবে বাঘাইছড়িতে পছন্দ মত জায়গা এখনও মিলাতে পারছিনা।