রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন হস্তান্তরিত বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তথ্য গোপন ও অনিয়মের আশঙ্কার অভিযোগ তুলে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নিয়োগ নিশ্চিত করতে আট দফা দাবি জানিয়েছেন জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে তারা আজ বুধবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, স্বচ্ছতার বাইরে গিয়ে গোপনে নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালনার চেষ্টা জনস্বার্থ ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপন্থী। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে, যার কারণে সঠিক তদারকি ছাড়া এ প্রক্রিয়া অগ্রসর হলে তা নতুন সংকট সৃষ্টি করবে।

শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত প্রধান দাবিগুলো হলো:
১. ৭% কোটা ও ৯৩% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করা।
২. প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন।
৩. প্রশ্নপত্র তৈরি পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে সরকারি ট্রেজারিতে সংরক্ষণ।
৪. পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।
৫. নিয়োগ পরীক্ষার আগে উপজেলা কোটা পৃথক প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ।
৬. নিয়োগ পরবর্তী সময় প্রার্থীদের রোল নম্বর, নাম ও ঠিকানা প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা।
৭. ফলাফলে বাঙালি ও তফসিলভুক্ত উপজাতীয় জনগোষ্ঠী দুই তালিকা আলাদাভাবে প্রকাশ।
৮. উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯৮৯ সালের জেলা পরিষদ আইনে উপজাতীয় অগ্রাধিকার নীতি মানা হচ্ছে কি না এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রদান।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী নূরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে এসব বিষয়ে জেলা পরিষদ সুস্পষ্ট নির্দেশনা না দিলে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পক্ষে, কিন্তু কোনো অনিয়ম বা তথ্য গোপনের প্রচেষ্টা তারা মেনে নেবে না।


















