খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা এশা ত্রিপুরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সিএইচটি উইমেন্স এক্টিভিস্ট ফোরাম (প্রাইম) ও প্রোগ্রেসিভ, রাঙামাটি।
রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সিএইচটি ওমেন এক্টিভিটিক্স ফোরাম ও নারী নেত্রী টুকু তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেরর সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, রাঙামাটি গর্জনতলী মহিলা সমিতির সভাপতি সাগরিকা রোয়াজা, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের প্রভাষক মুকুল কান্তি ত্রিপুরাসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, আমরা পুলিশের উপর আস্থা রাখছি। পুলিশ ঘটনার শুরু থেকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। আমরা পুরিশের হাত ধরে এ ঘটনার মূল রহস্য জানতে চাই।
এশার স্বামী উদ্দীপন ত্রিপুরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কারণ হত্যাকান্ডের সময় উদ্দীপন ত্রিপুরা বাড়িতে ছিল। সে জানে কি ঘটনা ঘটেছে। উদ্দীপন এ ঘটনার দায় কোনদিন এড়াতে পারে না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার মূল রহস্য জাতিকে জানানো হোক।
এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ দ্রুত ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন বক্তারা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, উদ্দীপনকে জিজ্ঞাসাবাদ না করার জন্য প্রভাবশালী মহল পুলিশকে চাপ দিচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারকে যারা ভিন্ন দিকে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
গত ২১ জুলাই শুক্রবার ভোররাতে এশা ত্রিপুরার লাশ খাগড়াছড়ি শহরের পশ্চিম মহাজন পাড়ার ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে এশার রক্তাত্ত লাশ উদ্ধার করার পর লাশটি ভোরে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বামী এবং প্রতিবেশীরা।
নিহত শিক্ষিকা এশা ত্রিপুরা মাটিরাঙা উপজেলার তপ্ত মাস্টার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার স্বামী উদ্দীপন ত্রিপুরা। ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে।