রাঙামাটিতে বাজার ফান্ডের ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ও দলিল বন্ধকী চালুর দাবিতে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে ভূমি সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পনিরের
সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে বাজার ফান্ডের আওতাধীন ব্যবসায়ি মহল ও সাধারণ মানুষ ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে দলে দলে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।ভূমি সংরক্ষণ আন্দোলন কমিটির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম পনির বলেন, ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ মামুনের আমলে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ও ভূমি বন্ধকী বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই দাবি নিয়ে আমরা ভূমি মন্ত্রনালয়, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা, বিভাগীয় কমিশনার সহ সকলের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছি। অদ্যবধি কেউ এই সমস্যার সমাধান করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাজপথে নেমেছি।
২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত এই নিয়ম চালু ছিল। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরা করা হবে। আগামী ২৭ নভেম্বরের মধে এই সমস্যার সমাধান করা না হলে ৩০ নভেম্বর কঠোর আন্দোলনে যাবেন বাজার ফান্ড ভূমি সংরক্ষণ আন্দোলন কমিটি। এর মধ্যে দাবি দাওয়া গুলো মানা না হলে হরতাল, অবরোধ ও লকডাউন সার্টডাউনের মত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাজার ফান্ড ভূমি সংরক্ষণ আন্দোলন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল বলেন, দলিল বন্ধকীর জন্য ঋণ না দেওয়ার কারনে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া করাতে পারছি না। এই ভূমি সমস্যা নিরসনে আমরা দফায় দফায় জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কমিশনার ও ভূমি মন্ত্রনালয় ও পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। যার কারনে আমরা রাজপথে নেমেছি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল কুদ্দুস, হিরু তালুকদার, মোঃ নুরুদ্দীন, মিজানুর রহমান, ব্যবসায়ি মাহবুব, আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউছুফ, তবলছড়ি বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল করিম, রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, করাত কল সমিতির সভাপতি মমতাজ মিয়া, কাঠঁ ব্যবসায়ি সমিতির সহসভাপতি রবিউল আলম রবি, আইনজীবী সমিতির সদস্য এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন সুজন, ব্যবসায়ি আব্দুল মান্নান, বিএনপির নেতা মুজিবুর রহমান, ভূমি সংরক্ষণ অধিকার কমিটির যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল ও জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আহবায়ক নুর জাহান বেগম ফারুলীসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, সারা দেশের মানুষ দলিল বন্ধকী সুযোগ সুবিধা পেতে পারলে আমরা পাহাড়ে কেন এই আইন বন্ধ রাখা হলো? আমরা আমাদের অধিকার কেন পাব না? তাই দ্রুত ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ও ভূমি বন্ধকী চালু করা না হলে রাঙামাটি জেলা শহর অচল করে দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ এই সমস্যার সমাধান না করলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা। রাঙামাটি একটি হতদরিদ্র ও গরীব অসহায় এলাকা। এখানে কলকারখানা বলতে কিছুই নেই। ব্যবসায়িরা ভূমি বন্ধকী ও ভূমি রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে ছোটখাটো ঋণ নিয়ে ব্যবসায়িরা জীবনজীবিকা নির্বাহ করে। এই সমস্যার জন্য দায়ী জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ। বক্তারা আরো বলেন, অনেক কালক্ষেপণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ছিঁড়ে গেছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেন না রাঙামাটিকে অচল করে দেওয়া হবে।


















