খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসি পার্কের নাম পরিবর্তন করে “ডিসি এডভেঞ্চার ও ইকো-ট্যুরিজম পার্ক” নামকরণ করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৃতিবান্ধব এডভেঞ্চার ও ইকো-ট্যুরিজম পার্কটিতে জিপলাইন ও ক্লাইম্বিং ওয়াল উদ্বোধন শেষে অভয়ারণ্যে একটি স্লো লরিস (লজ্জাবতী বানর) অবমুক্ত এবং বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর সমাপ্তি হিসেবে চারটি চারা রোপন করেন।
এসময় তিনি খুব দ্রুততম সময়ে পাহাড়ের পর্যটন খাতকে মাতিয়ে তুলতে ডিসি এডভেঞ্চার ও ইকো-ট্যুরিজম পার্ক সম্পর্কে বলেন, প্রকৃতির সৌন্দর্য্য অক্ষুন্ন রেখে ডিসি পার্ককে প্রাণ ও বৃক্ষ বৈচিত্র্যে সাজানো হবে।
প্রকৃতিপ্রমী ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় করতে ১’শ ৬০ একর জায়গায় সবুজ নৈসর্গিক ছোট, বড় ২২টি টিলায় আম-জাম-লিচু, কামরাঙা, জলপাইসহ ফলদ ও বনজ বাগান আর নীল জলাশয়ে ঘেরা ৩টি লেকসহ ইকো-ট্যুরিজম ও এডভেঞ্চার এক্টিভিটি নিয়ে পরিপূর্ণ একটি পর্যটনে বসানো হয়েছে জিপলাইন, ট্রি টপ এক্টিভিটি, কায়াকিং বোট, ওয়াটার জিপ লাইন ও ক্লাইম্বিং ওয়াল এডভেঞ্চার এক্টিভিটি’।
উদ্বোধনের স্বাগতিক বক্তব্যে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধরী বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পে নজির সৃষ্টি করল ‘ডিসি এডভেঞ্চার ও ইকো-ট্যুরিজম পার্কটি’। শুধু তাই নয়, এই সবুজ অরণ্য পাখপাখালির অভয়ারণ্য গড়তে জেলা প্রশাসকের সার্বিক নির্দেশনায় লাগানো হচ্ছে ১০০ বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির ফলদ, বনজ, শোভাবর্ধক ও ঔষধীর ৩০ হাজার বৃক্ষ।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, পলাশপুর জোনের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারহা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, ডিডি (এলজি) নাজমুন আরা সুলতানা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জোনায়েদ কবির সোহাগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সার্কেল মো. কামরুজ্জামান , থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনচারুল করিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ডলু মৌজার বেহাত হওয়া ১’শ ৬০ একর সরকারি খাসভূমি উদ্ধার করে এই পার্কের সূচনা করেন।