দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ফোটে উলুফুল। ভিন্নধর্মী এ ফুল ঘরে সাজিয়ে রাখা হয় না, খোঁপাতেও এর হয় না ঠাঁই। সাধারণত এই উলুফুল দিয়ে বানানো হয় ঝাড়ু। সেই ঝাড়ু বাজারে বিক্রি করেন স্থানীয়রা।
মাঘে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার উত্তর ইয়ারিংছড়ি সড়কের যেদিকে চোখ যায়, শুধু ঝাড়ুফুলের সমারোহ। ফুল থাকবে চৈত্র পর্যন্ত।
পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে ফোটা এ ফুলের ১০ থেকে ১৫টি দিয়ে আঁটি বেঁধে ঝাড়ু বানানো হয়। সেই ঝাড়ু স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ টাকায়।
শুধু স্থানীয় বাজারে নয়, সারা দেশে রয়েছে এ ঝাড়ুর চাহিদা। তাই অনেকে বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে নেন ঝাড়ু বানানোকে।
ঝাড়ুফুল বাগিচার মালিক রুস্তম আলী রুপচান জানান, গত বছর ঝাড়ু বিক্রি করে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। তার আশা, এ বছর ঝাড়ু থেকে আয় হবে প্রায় লাখ টাকা। রুপচানের ইচ্ছা বাণিজ্যিকভাবে ঝাড়ফুলের বাগান করার।
ঝাড়ু ফুলের চাষা নিপন চাকমা বলেন,এটা পাহাড়ের প্রাকৃতিক নিয়মে বেড়ে উঠে ফলে এর জন্য অন্যান্য চাষাবাদের মতো ঝামেলা পোহাতে হয়না এবং মুনাফাও ভালো পাওয়া যায়।
ঝাড়ু ফুলের বাগান মালিক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এই ঝাড়ু ফুলের বাগানটি দেখতে বেশ সুন্দর হয় শুধু মাত্র গরু আর আগুন ছাড়া এই বাগানের ক্ষতি অন্য পোকামাকড় করতে পারেনা। যার কারনে বিষ কিংবা ষার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়না করতে হয়না অন্যান্য ফসল ফলানোর মত রক্ষনা বেক্ষন।
অন্য এক ঝাড়ু ফুলের বাগান মালিক সবুজ মিঞা বলেন,ঝাড়ু ফুল উচু টিলায় হয়,সাধারণত সেসব পাহাড়ে অন্যান্য পাহাড়ি গাছ ছাড়া চাষাবাদ করা মুস্কিল ফলে এটি মাটি পাহাড় কোনটিই নষ্ট করতে পারেনা এবং অতি দ্রুত সময়ে ভালো একটি মুনাফা দেয়। প্রতি বছর রোপণ করার ঝামেলাও নেই,কেটে নেওয়া ঝাড়ু কিংবা উলু ফুলের গোড়া হতে সে নিজেই প্রতি বছর বেড়ে উঠে। কাজেই এ বছর ভালো মুনাফা পেলে আগামী বছর ব্যাপক ভাবে সম্পুর্ণ টিলায় এর গোড়া ছড়িয়ে দিবো।
এ বিষয়ে লংগদু উপজেলার উত্তর ইয়ারিংছড়ি এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পাহাড়ে ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। এতে কম খরচে সফলতার মুখ দেখছেন চাষীরা।