সোমবার , ১ জুলাই ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটি শহরে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে ১৩৬৬ পরিবার, সদরে খোলা হয়েছে ৭৭টি আশ্রয় কেন্দ্র

প্রতিবেদক
এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
জুলাই ১, ২০২৪ ৬:২২ অপরাহ্ণ

শুধু রাঙামাটি শহরেই পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে ১৩৬৬টি পরিবার। পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করা লোকজনের নিরাপত্তার জন্য সদরে খোলা হয়েছে মোট ৭৭টি আশ্রয় কেন্দ্র। এদিকে শুক্রবার থেকে রাঙামাটিতে শুরু হয় থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি। রবিবার ভোর রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সারা দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এ পরিস্থিতিতে মানুষের মাঝে চরম ভয়ভীতি বেড়েছে। যে কোনো সময় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে,শহর এলাকাসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করা লোকজনকে আগে-ভাগে নিরাপদে বা জেলা ও উপজেলায় প্রস্তুতকৃত আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সতর্কবার্তা জারি করে সার্বক্ষণিক মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কেউ নিজ উদ্যোগে নিরাপদে সরে না গেলে প্রয়োজনে তাদের প্রাঁণ বাঁচাতে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনের নিরাপত্তায় শহর এলাকাসহ জেলার ১০ উপজেলায় সর্বমোট-২৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাঙামাটি পৌরসভায় ২৩টি এবং রাঙামাটি সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৯টি করে ৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্র। অন্য আশ্রয় কেন্দ্রগুলো অপর ৯টি উপজেলার সদরসহ ইউনিয়ন ভিত্তিক খোলা হয়েছে।

রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা জানান, জেলা সদরের পৌরসভা এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে ৩১টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে শহরের রিজার্ভ বাজারে চেঙ্গিমুখ, চম্পানি মা টিলা, শহিদ আবদুল আলী একাডেমি বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, পুলিশ সুপার কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা, গর্জনতলী, ভেদভেদী নতুনপাড়া, শিমুলতলী, রূপনগর, যুব উন্নয়ন এলাকা অন্যতম। ওইসব এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা ১৩৬৬। তাদের মধ্যে রয়েছে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে ১৭টি, ২নং ওয়ার্ডে ৫০টি, ৩নং ওয়ার্ডে ৩১৯টি, ৪নং ওয়ার্ডে ১৮টি, ৫নং ওয়ার্ডে ২৫টি, ৬নং ওয়ার্ডে ৫৪০টি, ৭নং ওয়ার্ডে ২৩৮টি, ৮নং ওয়ার্ডে ৪৪টি এবং ৯নং ওয়ার্ডে ২১৪টি পরিবার।এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করা লোকজনের নিরাপত্তায় পৌরসভায় মোট ২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে।

এদিকে শনিবার দিবাগত রাতে ভারী বর্ষণ ও অতিবৃষ্টিপাত দেখে জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শহরের রুপনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের
ঢালে বসবাসরত লোকজনদের নিরাপদ স্থানে ও আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। তবে ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতরা কোন ক্রমেই বাসস্থান ছেড়ে যেতে রাজি না।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: