রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলাধীন ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এরাবুনিয়া গ্রামে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে মারামারিতে ৪জন আহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে মাহফুজ আলম ও রফিকুল এই দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি বাঁধে। তবে রফিকুলের কেউ আহত হয়েছে কি না তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৪-৫ মাস আগে রফিকুলের ভাগিনা রাজুকে নারী ঘটিত মিথ্যা অপবাধ দিয়ে বেধম মারধর করে মাহফুজ আলমের পরিবার। পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজুর নামে কোর্টে একটি নারী সংক্রান্ত মামলা করে মাহফুজ আলমের ২য় স্ত্রী নাসরিন(২৬)। ওই ঘটনার জের ধরে এই মারামারি হয়। এসময় ৪জন আহত হয়। আহতরা হলেন-মাহফুজ আলম(৩৬), পিতা মৃত -গণি মাষ্টার, আঞ্জুআরা বেগম (৩৩), স্বামী-মাহফুজ আলম, নাসরিন (২৬),স্বামী- মাহফুজ আলম ও মোঃ গোলাম রাব্বানী (১৭), পিতা মৃত-মোঃ মনোয়ার গাজী। সর্ব সাং-এরাবুনিয়া, ৬নং ওয়ার্ড, ভুষণছড়া ইউপি, উপজেলা-বরকল, জেলা-রাঙামাটি।
আহত-মাহফুজ আলম ও আঞ্জুআরা বেগম বলেন, রফিকুল, সফিকুল, ইমন, সাইফুল ও রাজুগংরা আমাদেরকে অতর্কিত ভাবে লাঠিসোঠা দিয়ে বেধম মারধর করে। আমিসহ আমার পরিবার পরিজন মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। সফিকুলের ভাগিনা রাজু আমার ছোট স্ত্রীর প্রতি কুনজর দিলে আমার স্ত্রী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করে। ওই ঝাল মিটাতেই আমাদের উপর এই হামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আমার ভাই শাহিন বরকল থানাকে অবগত করেছে।
এই ব্যাপারে জানতে বিবাদী রাজু ও সফিকুলকে এই ০১৮২৮৯১১৭৪৩ ও ০১৮৭৮৫৩১২৫৩ নাম্বারে কল করা হলে ফোন রিসিভ হয়নি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বরকল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আলমগীর মুঠোফোনে জানান, সম্ভবত আহত মাহফুজ আলমের ভাই শাহিন আলম আমাকে মুঠোফোনে মারামারির বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।