রাঙামাটি সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে বললেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। বুধবার দুপুরে রাঙামাটিতে ক্ষয়-ক্ষতি পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, রাঙামাটিতে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনতে হবে। ঘটনা নিয়ে মামলা হয়েছে এবং বিভিন্ন ভিডিও চিত্র ও ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। এক্ষেত্রে কোন নিরপরাধি মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সর্তক থাকার জন্যও সংশ্লষ্টিদের বলেন। সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিস্তারিত তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন উপদষ্টো সুপ্রদীপ চাকমা।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় র্পাবত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলকি পরষিদ, শেভরণ ক্লিনিক ও তার আশেপাশে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানসমূহ, বনরুপা কাটা পাহাড় মার্কেট, বনরুপা কাচাবাজার দোকানপাট, বনরূপা জামে মসজিদ, কাঠালতলী মৈত্রী বিহার, পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন পার্বত্য উপদেষ্টা।
পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্তদের শান্তনা দিয়ে বলেন, যাদের ব্যবসা বিণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও অফিস, ব্যাংক ও দোকানপাট আগুনে পুড়ে ক্ষতি সাধিত হয়েছে আপনারা আবেদন জমা দেবেন। সেটি সরকার বিবেচনা করে দ্রুত ক্ষতি পুরনের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। ওই দিনের ভাংচুরে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা আমাদের লোকজনের কাছে তালিকা দেন।
এসময় উপদেষ্টা আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারনে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে এ সমস্যা অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে। এ সহিংস ঘটনায় পাহাড়ি বাঙালি ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড.এসএম ফরহাদ হোসেন, পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব কনকন চাকমা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা বিনতে রিফাতসহ আরো অনেকে।