রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বরইছড়ি কর্ণফুলী নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণি শিক্ষক রাজন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়ে। তারা হলো বরইছড়ি মারমা পাড়ার সাথুই অং মারমার মেয়ে অংমেচিং মারমা (১৪) এবং রাঙামাটি সদরের কেরেক কাঁটা এলাকার সুজন চাকমার মেয়ে রিনি চাকমা (১৫)। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাস চলাকালীন ওয়াশরুমে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ায় শিক্ষক রাজন বড়ুয়া প্রথমে তাদের কান ধরে শাস্তি দেন। পরে বাঁশের বেত দিয়ে ৬ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটান। এতে একজন শিক্ষার্থী জ্ঞান হারান এবং আরেকজনের হাতে আঘাত লাগে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা দায়ী শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জয়সীম বড়–য়া জানান, সোমবার বিকালে তুচ্ছ ঘটনায় শ্রেণী শিক্ষক রাজন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় বলে আমাকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক রাজন বড়–য়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বেতন থেকে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাব্যবস্থার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নেলী রুদ্র জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।