রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর দারুল উলুম হাফেজিয়া নূরানী মাদরাসা ও এতিমখানায় দুর্ধর্ষ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এতিম শিশুদের জন্য রাখা চাল, ডাল, সবজি, মাংসসহ হাড়ি পাতিল সবকিছু চুরি করে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই সাথে মাদরাসায় আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
দারুল উলুম হাফেজিয়া নূরানী মাদরাসা ও এতিমখানা পরিচালক হাফেজ মোকাম্মেল হোসেন বলেন, বুধবার (৩সেপ্টম্বর) সকাল ৬টায় মাদরাসার এতিম শিশুদের সকালের খানা তৈরি করার জন্য বাবুর্চি দরজা খুলতে গেলে দরজা ভাঙ্গা দেখতে পান। এসময় রান্নাঘরের চাল, ডাল, তৈল, কাঁচা সবজি, রান্না করার হাড়ি, পাতিল, ডিম, গরু, মুরগির গোসতসহ যাবতীয় সবকিছু চুরি করে নেওয়া হয়েছে। খবর পাওয়ার পর মাদ্রাসার পরিচালক, পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শিক্ষক এবং ইমাম সকলে ছুটে আসেন।
পরিচালক আরোও জানান, এদিন সকাল ১০টা ৩০মিনিটে স্থানীয় একজন মহিলা মাদরাসা হতে প্রায় ৫শ’গজদূরে নিজের ঘরের জন্য একটা জঙ্গলে কচুর শাক তুলতে গিয়ে দেখে গভীর খাদের নিচে চাল, ডাল ও কিছু কাগজপত্র এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে। ঘটনাটি মাদ্রাসা পরিচালকসহ সকলকে জানানো হয়। পরে সবাই এসে দেখে জঙ্গলের গভীর খাদে চুরি যাওয়া কিছু মালামাল, হাড়ি পাতিল পড়ে আছে। এবং চালগুলো মাটিতে এলোমেলোভাবে ফেলে রেখেছে। কিছু মালপত্র উদ্বার করা হলেও অন্যান্য মালামাল গুলো পাওয়া যায়নি।
দারুল উলুম হাফেজিয়া নূরানী মাদরাসা ও এতিমখানা পরিচালক হাফেজ মোকাম্মেল হোসেন জানান, এই ধরনের চুরি ও মাদরাসাকে জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা দুঃখ জনক ঘটনা। এতিম শিশুদের সকলের দান খয়রাত ও সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালিত হয়।কিন্ত এতিমের সকল চাল,ডাল,গোশত, সবজি, তৈল ও হাড়ি পাতিল, ফ্যান চুরি করে নেওয়া দুঃখ জনক।
মাদরাসা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রহমত উল্লাহ জানান, ঘটনা বা চুরি করে এতিম শিশুদের খানা নিয়ে যাওয়া দুঃখ জনক। সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক এর বিচার দাবি জানান।
ঘটনাস্থলে ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমেদসহ বিভিন্ন স্থরের লোকজন দেখতে এসে ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে। এবং সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করে। মাদ্রাসা পরিচালক খোয়া যাওয়া বিষয়ে কাপ্তাই থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে বলে জানান। ল্লেখ কাপ্তাই শিল্প এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং মানুষজন চোরের আতংক আছে বলে অভিযোগ করেন।