খুচরা পর্যায়ের সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স বহাল রাখার দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে খুচরা সার বিক্রেতারা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন বিক্রেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সার বিপণনের বিদ্যমান ২০০৯ সালের নীতিমালা পরিবর্তন করে নতুন সার নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন নীতিমালায় খুচরা সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সারা দেশের প্রায় ৫০ হাজার খুচরা সার বিক্রেতাকে বিপদের মুখে ফেলবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র বলেন, খুচরা বিক্রেতারা দেশের কৃষকদের কাছে সার পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নতুন নীতিমালায় যদি তাদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং বিপুল সংখ্যক বিক্রেতা বেকার হয়ে পড়বে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে খুচরা বিক্রেতাদের বহাল রেখে, প্রয়োজনে বিসিআইসি ডিলারের সংখ্যা বাড়ানো হোক।
সংগঠনের সভাপতি কনক ব্রত ত্রিপুরা বলেন, খুচরা সার বিক্রেতারা কৃষকদের সাথে সরাসরি কাজ করে। অনেক সময় তারা লক্ষ লক্ষ টাকার সার ও কৃষি উপকরণ কৃষকদের নগদ ও বাকিতে বিক্রি করেন। বর্তমানে কৃষকদের কাছে খুচরা বিক্রেতাদের কোটি কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। যদি তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়, তাহলে তারা শুধু বেকারই হবেন না, আর্থিকভাবেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদন টেকসই রাখতে খুচরা বিক্রেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই সরকারের প্রতি তারা আহ্বান জানান নতুন নীতিমালা প্রণয়নের সময় খুচরা বিক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা করে সার বিপণন ব্যবস্থায় তাদের বহাল রাখার ব্যবস্থা করতে।