মঙ্গলবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৫ | ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর স্মরণে বাঘাইছড়ি জামায়াতের আলোচনা সভা

প্রতিবেদক
ইমরান হোসেন, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি
অক্টোবর ২৮, ২০২৫ ৯:০৪ অপরাহ্ণ

২০০৬ সালের ঐতিহাসিক রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর স্মরণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার স্থানীয় কার্যালয়ে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কবীর আহমদ এবং সঞ্চালনা করেন মাওলানা আফসার উদ্দিন। এতে বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতের সভাপতি মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. আফসার হোসেন, প্রচার সেক্রেটারি ডা. সরদার আবদুর রহিম ও টিম সদস্য মো. হানিফ।

বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ভয়াবহ ও কলঙ্কিত দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সেদিন রাজধানীর পল্টনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর পূর্বনির্ধারিত সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা লগি-বৈঠা, লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। প্রকাশ্য দিবালোকে নিরস্ত্র জামায়াত ও ছাত্রশিবির কর্মীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রশিবির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম ও কর্মী জসিম উদ্দিনসহ মোট ১৪ জন; আহত হন সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।

বক্তারা আরও বলেন, এ ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জাতির উদ্দেশে ভাষণের পরদিন। ২৮ অক্টোবর জামায়াতের নির্ধারিত সমাবেশের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী জোটের নেতাকর্মীরা বিজয়নগর, তোপখানা রোড ও মুক্তাঙ্গন দিক থেকে সমাবেশস্থলে হামলা চালায়। পল্টন মোড়সহ আশপাশের এলাকায় নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় এবং মঞ্চে আগুন ধরানোর চেষ্টা চলে। বক্তারা বলেন, এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত ও সংগঠিত হামলা— যার উদ্দেশ্য ছিল জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করা ও ভয় দেখানো।

বক্তারা উল্লেখ করেন, দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা এ ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিবসহ বিশ্বজুড়ে এর নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও এ ঘটনার বিচার হয়নি। তারা বলেন, রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের বিচার না হওয়া জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সহিংসতার অন্যতম জঘন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।

বক্তারা আরও বলেন, ডাকসু, রাকসু, জাকসু ও চাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ধারাবাহিক বিজয় প্রমাণ করে দেশে ইসলামী রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা ও জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। তারা বলেন, দেশে কুরআনের আইন বাস্তবায়িত হলে গুম, খুন ও দুর্নীতির মতো অপরাধ চিরতরে বন্ধ হবে।

সভায় বক্তারা আগাম ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানান। পাশাপাশি তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।

আলোচনা শেষে ২৮ অক্টোবরের শহীদদের রুহের মাগফেরাত, দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: