২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আজ (২৬ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পতাকা বিতরণ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি’র) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি চিংহ্লামং মারী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিসপ্লে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে আসে শিক্ষার্থীরা। কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে দেখতে আসে অনেক অভিভাবকদের সাথে কোমলমতি শিশুরা। এসময় স্টেডিয়ামের প্রবেশ মুখে মোঃ হাবীব আজম দাড়িয়ে কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতীয় পতাকা বিতরণ করেন।
বিতরণ কালে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা জাতীয় পতাকা হাতে পেয়ে ধন্যবাদ জানান হাবীব আজমকে। পাশে অনেক শিশুদের অভিভাবকরা ছিলেন তারা বলেন এই ধরণের ব্যতিক্রম উদ্যােগের ফলে বাচ্চাদের ভিতর ছোট থেকেই দেশপ্রেম জাগ্রত হবে, জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে আমাদের আগামী প্রজন্মের মাঝে।
জাতীয় পতাকা কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ শেষে মো. হাবীব আজম বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা আসার পর স্বাধীনতাকামী ও মুক্তি পাগল বাংলার দামাল সন্তানেরা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে ও তাদের আত্মত্যাগের ফলেই আমাদের বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে।
সে সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাই স্বশ্রদ্ধ সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। স্বাধীনতার মাসে সোনার বাংলা গড়া প্রতিটি বাঙালির অঙ্গিকার ও দৃঢ় প্রত্যয় থাকা উচিৎ। সকল চড়াই উৎড়াই পিছনে ফেলে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশমাতৃকার কল্যাণে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো এটাই আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত। পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কোমলমতি শিশুরা জাতীয় পতাকা উপহার পেয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আশা করেন মোঃ হাবীব আজম।