মঙ্গলবার , ৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল: তৎপর সম্ভাব্য প্রার্থীরা

প্রতিবেদক
এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
এপ্রিল ৯, ২০২৪ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তৎপর রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এবার দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ না থাকায় প্রতিটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্ধিতায় মুখোমুখী হচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী। এতে বেশিরভাগ উপজেলায় তাদের নিজেদের দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

অন্যদিকে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সরাসরি প্রার্থী দিয়ে অংশ নেবে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলো। এতে নির্বাচন হবে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ। সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস), পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা), প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)- এ চারটি দলেরই এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রস্তুতি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট ৮ মে। এর আগে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল,প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল ও প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। এ দফায় পাহাড়ের তিন পার্বত্য জেলার ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলাগুলো হলো রাঙামাটি জেলার সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল,খাগড়াছড়ি জেলার মনিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা এবং বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, থানছি ও আলীকদম উপজেলা। ইতোমধ্যে নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছেন এসব উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

খাঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙামাটিতে নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি তৎপর আঞ্চলিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে বিএনপির দলীয়, স্বতন্ত্র বা ব্যক্তিগতভাবে কেউ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। দলীয় প্রতীক না থাকায় এবং দলের একক কোনো প্রার্থীর পক্ষে মন্ত্রী, এমপি ও শীর্ষনেতাদের প্রতি প্রচারণায় না থাকার জন্য হাই কমান্ডের নির্দেশে দুঃচিন্তায় আওয়ামী লীগের অনেক শক্তিশালী প্রার্থী। যারা গত নির্বাচনে নৌকার ওপর ভর দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবার তাদের অনেকের ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে। তবে শীষ নেতাদের সমর্থন পেতে ভেতরে ভেতরে আওয়ামী লীগের অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, রাঙামাটির চারটি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় এবার নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান,জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো.মুজিবুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.শাহ জাহান। এছাড়া রয়েছেন (স্বতন্ত্র )প্রার্থী জেএসএস (সন্তু লারমা) সমর্থনপুষ্ট (সাবেক) সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা। তবে এ উপজেলায় জেএসএস (এমএন লারমা), ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)’এর সম্ভাব্য কোনো প্রার্থীর নাম এখনো পর্যন্ত শোনা যায়নি।

কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সামশুদ্দোহা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার, উপজেলা আওয়ামীগ লীগ সদস্য কেচিং মং মারমা, কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যজাই মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এসএম চৌধুরী, অংচাপ্রু মারমা, মোঃ মনসুরুল হক। এছাড়া রয়েছেন ইউপিডিএফ সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী অর্জুন মনি চাকমা। এ উপজেলায় অন্য দলের সম্ভাব্য কোনো প্রার্থীর তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি।

নানিয়ারচর উপজেলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন জেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সমর্থনপুষ্ট বর্তমান চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান রন বিকাশ চাকমা, ইউপিডিএফ সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতি লাল চাকমা, সদর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমা ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অমর জীবন চাকমা। এ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমার সমর্থনে আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী হচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
বরকল উপজেলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সন্তোষ কুমার চাকমা, জেএসএসএস (সন্তু লারমা) সমর্থনপুষ্ট বর্তমান চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী নতুন কুমার চাকমা ও আওয়ামী লীগের সুজন চাকমা। অন্য দলের কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এক শীর্ষনেতা বলেন, আমরা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিন পার্বত্য জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় আমরা নির্বাচন করব। আমাদের সমর্থিত প্রার্থরা স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে আমাদের প্রার্থীরা জয়ী হবেন।

ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা বলছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসাবে সব নির্বাচনেই তো আমাদের অংশ নেওয়ার কথা। আমরা তো তা চাই। কিন্তু সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে রুপ দেই বলে আমরা গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেইনি। এবার স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনে অংশ নিতে আমাদের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এবার আমাদের সমর্থিত ৫-৭ উপজেলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাঘাইছড়ি উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেন, আমরা বরাবরই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছি, এবারও অংশ নেব। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের বেশকিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে নিশ্চিত আমরা নির্বাচন করব। দীঘিনালা এবং নানিয়ারচরের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়নি।
ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের প্রধান জলোয়া চাকমা জানান, আমরা অবশ্যই এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেব। সেটা পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষ যেভাবেই হোক। রাঙামাটির নানিয়ারচর এবং বিলাইছড়ি উপজেলায় সরাসরি আমাদের সমর্থিত প্রার্থী আছেন।

এদিকে আঞ্চলিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ মো. মুছা মাতব্বর বলেন, আমরা তাদের উপজেলা নির্বাচনে আসার আহবান জানাই। তবে তাদের অংশ নেওয়া না নেওয়া নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। যদি তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করতে না পারে তাহলে জনগণ আমাদের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। কারণ গত ১৫ বছরে সারা দেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হয়েছে।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: