হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করার দাবী জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের হেডম্যানরা ( মৌজা প্রধান)।
বুধবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর পাঠানো এক স্মারকলিপিতে এ দাবী জানান।
স্মারকলিপিতে বলা হয় পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সুযোগ সুবিধার প্রদানসহ এদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সনাতনী, রীতি, প্রথাসমুহ সংরক্ষণের জন্য বৃটিশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ প্রনয়ন করে। এ আইনের আলোকে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদন হয়। চুক্তির আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পাবর্ত্য (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) জেলা পরিষদ সংশোধন হয়। পার্বত্য চুক্তিতে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০।
২০০৩ সালে সাম্প্রদায়িক সরকারের আমলে হাইকোর্ট বিভাগের এক মামলায় এ আইনকে মৃত আইন ঘোষণা করা হয়। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আপীল বিভাগ এ রায়কে খারিজ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বৈধ এবং কার্যকর আইন মর্মে ঘোষণা করে।
আপীল বিভাগেরে এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে ২৫ অক্টোবর আব্দুল আজিজ নামে একজন আপীল বিভাগে পুনরায় রিভিউ আবেদন করে। নিষ্পত্তি হওয়া বিষয়টি পুনরায় উত্থাপিত হওয়ায় শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন হেডম্যান সমাজ।
স্মারকলিপিতে বলা হয় এ রিভিউ উদ্দেশ্য হল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম নিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী প্রগতিশীল চরিত্রকে ব্যহত করা। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভিন্ন ভিন্ন পাহাড়ি জাতিসত্তার স্বতন্ত্র সত্তা, পরিচয়, স্বকীয়তা, ঐতিহ্য, জীবনাচার ও মৌলিক অধিকারকে ভুলুন্ঠিত করা যা সংবিধানের পরিপন্থী।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য রাঙামাটি হেডম্যান এসোসিয়েশেনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সহ সভাপতি এড. ভবতোষ দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক কেরোল চাকমা, যুগ্ম সম্পাদক থোয়াই অং মারমা, সাংগঠনিক সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, দপ্তর সম্পাদক দীপন দেওয়ান টিটুসহ অন্যান্য হেডম্যানরা।