সোমবার (৩ মার্চ) বিকেল রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়নের জেটিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় একদল শ্রমিক কাপ্তাই লেক হতে ইঞ্জিন চালিত বোট হতে ফুল ঝাড়ু মাথায় করে নিয়ে জেটিঘাটে অপেক্ষামান ট্রাকে তুলছেন। পাহাড়ের উৎপাদিত এসব ফুলের ঝাড়ুর কদর রয়েছে সারা দেশ জুড়ে। ঘাঁট শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব ফুলের ঝাড়ু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে এবং এইগুলোর বেশ কদর রয়েছে।
এসময় কথা হয় স্থানীয় শ্রমিক ইসমাইল, বেলাল এবং কবিরের সাথে। তাঁরা জানান প্রতিবছর জানুয়ারি হতে মার্চ পর্যন্ত পাহাড়ে এই ফুল ঝাড়ু কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকা হতে ব্যবসায়িরা ঢাকা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, শ্যামপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়।
ঘাঁট শ্রমিক মো: কাসেম জানান, বিলাইছড়ি উপজেলা, লংগদু, মাইনি, হরিনা, মারিশ্যা হতে এইসব ফুল ঝাড়ু আসে। দৈনিক ৬শত টাকা মজুরিতে পাইকার ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ফুলের ঝাড়ু ট্রাকে উঠানোর কাজে সহযোগিতা করেন তিনি। সপ্তাহে ৩ দিন ফুল ঝাড়ু আসলেও শনিবার সাপ্তাহিক হাটে ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে।
ফুল ঝাড়ু বিক্রয় করতে কাপ্তাই জেটিঘাটে আসা বিলাইছড়ির ফারুয়ার বাসিন্দা দয়ারাম তনচংগ্যা জানান, পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে ফোটা এই ফুলের ১০ থেকে ১৫টি দিয়ে আঁটি বেঁধে ঝাড়ু বানানো হয়। সেই ঝাড়ু স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় ১০ থেকে ২৫ টাকায়। বেশ কয়েকবছর ধরে তারা এই ফুল ঝাড়ু বিক্রয় করে ভালো লাভ পাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হতে আসা ব্যবসায়ি আবু সালেহ এবং মো: মহিউদ্দিন জানান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড়ি ফুল ঝাড়ুর বেশ কদর রয়েছে। বিগত ৫ বছর ধরে কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে ঝাড়ু ক্রয় করে আমরা নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, শ্যামপুর পাঠাই। প্রতি ট্রাকে প্রায় তিন হাজার বান্ডেল ফুল ঝাড়ু পরিবহন করা যায়। এছাড়া প্রতি বান্ডেল ১ থেকে ২ হাজার টাকা ক্রয় করে থাকেন। পাশাপাশি সেগুলো খুচরা বাজারে বিক্রয় করে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয় হয় আমাদের।