রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ঘাতক এলপিজি গ্যাসের লড়ি চালক কেড়ে নিল পাগলের প্রাণ।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শিমুলতলীস্থ বেতার সংলগ্ন এলাকায় এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ভারসাম্যহীন মফিজুর রহমান নামের ব্যক্তিটি। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পরে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে নিহতের ভাতিজা ওয়াসিউর রহমান।
নিহতের ভাতিজা ওয়াসিউর রহমান জানান, প্রায় ৯-১০ বছর যাবৎ তার চাচা মফিজুর রহমান ভারসাম্যহীন রোগি হিসেবে বেঁচে আছে। সোমবার সকাল ১০টায় সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। এখন জানতে পেরেছি চাচা মারা গেছে। চাচার ২মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে এলপিজি গ্যাসের লড়ি রাঙামাটিতে প্রবেশকালে লড়ি চালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভারসাম্যহীন লোকটি মেরে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরুত হাল তৈরি করে। পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা এলপিজি গ্যাস লড়ি চালক ভারসাম্যহীন লোকটিকে চাকায় পিষ্ঠ করে মেরে ফেলে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে খোজ খবর নিয়ে লড়ি চালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে এবং লড়িটি জব্দ করতে সক্ষম হয়।জানা গেছে নিহত মফিজুর রহমানের বাড়ি রাঙামাটি সদর তবলছড়ি এলাকার ধন মিয়া পাহাড়ের কাছে। এব্যাপারে প্রচলিত আইনে লড়ি চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।