রাঙামাটি ও কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদনে একটি বড় বাধা বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফডিসি) বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। এ বাঁধা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সফল মৎস্যচাষিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল— “অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি।”
এসময় কাজল তালুকদার বলেন, বিএফডিসিতে তেমন কোন বিশেষজ্ঞ নেই, শুধু রাজস্ব আদায়ের জন্যই তাদেরকে ওখানে রাখা হয়েছে। কাপ্তাই লেক কিভাবে পরিচালিত হবে সে পরিচালনার জ্ঞান ধারণা, নেই বললেই চলে। তাদের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া জরুরি। বিএফডিসি নিত্যনতুন আইন প্রণয়ন করে অযৌক্তিকভাবে মৎস্য উৎপাদনে বাঁধা সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই বিএফডিসিকে জেলা পরিষদের অধীনে হস্তান্তর করা হোক। মৎস্য অধিদপ্তর জেলা পরিষদের অধীনে রয়েছে, তাহলে বিএফডিসি কেন থাকবে না? কাপ্তাই লেকের মাছ উৎপাদন ব্যাহত হলে শুধু এ অঞ্চলের নয়, সারা দেশেরই ক্ষতি হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ সদস্য ও মৎস্যবিষয়ক আহ্বায়ক মিনহাজ মুরশীদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রেজাউল করিম, জেলা পরিষদ সদস্য দেবপ্রসাদ দেওয়ানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও মৎস্যচাষিরা।
আলোচনা সভা শেষে জেলার সফল তিনজন মৎস্যচাষির হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেন প্রধান অতিথি কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।