নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
পার্বত্য অঞ্চলে সকল সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি সংসদীয় আসনের সদস্য দীপংকর তালুকদার।
শনিবার রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গনে সনাতন যুব পরিষেদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন দীপংকর তালুকদার।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান সম্প্রদায়ের সকল উপসনালয় উন্নয়নের পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকুরী সহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের কোন সম্প্রদায়ের লোক আজ আওয়ামীলীগের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত নেই। এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকার সয সময় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চল নয় সারা বাংলাদেশের সনাতনীরা স্বাধীনতার পক্ষ হয়ে স্বাধীনতার আগে থেকে কাজ করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসংখ্য সনাতনী তাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে এই দেশকে স্বাধীন করতে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বর্তামনেও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ার কারণে স্বাধীনতা বিরোধীদের রোষানলে পড়তে হয় সনানতীদের।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সব সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানীর মাধ্যমে এই দেশের সনাতনীদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার এই কুচক্রী স্বার্থন্বেষী স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে কখনোই ছাড় দেবে না। অতীতেও ছাড় দেয়নি আগামীতেও দেবে না। আগামী দিন গুলোতে আওয়ামীলীগ সব সময় সনাতন সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।
সনাতন যুব পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি জগন্নাথ ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সিনিয়র আইনজীবি দুলাল কান্তি সরকার।
বিশেষ বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটির সভাপতি অমর কুমার দে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রাঙামাটির সভাপতি দীপন কুমার ঘোষ, রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কান্তি মহাজন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ত্রিদিব কান্তি দাশ সহ সনাতন যুব পরিষদের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের সূচনা করা হয়।