রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়িস্থ জামতলা এক মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে জিন তাড়ানোর নামে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবু বক্করসহ তার সহযোগি শিক্ষকরা। গত সপ্তাহে ওই মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের মত একটি ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি জামতলা মাদ্রাসায় প্রায় সময় এধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। গত কয়েক বছর আগে শিক্ষকদের নির্যাতনে এক শিশু মৃত্যু বরণ করে। এছাড়াও ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের আচার আচারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে কৌতুহল বিরাজ করছে। ওই
মা
দ্রাসার শিক্ষকেরা শিক্ষর্থীদের ব্যাপারে যত্নশীল না হয়ে ব্যক্তি স্বার্থকে বেশি প্রধান্য দিচ্ছে। নির্যাতিত শিশু আব্দুর রহমানের মা রাবেয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘ দিন ধরে ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে আসছে। ছেলে প্রায় সময় শিক্ষকদের বিষয়ে ছোট্ট খাটো অভিযোগ দিতো আমাকে। কিন্তু এসব অভিযোগ আমি আমলে নিতাম না। গত কয়েকদিন আগে আমার ছেলেকে জিনে পাইছে মর্মে বেধম মারধর ও নির্যাতন করে।
পরে ছেলেকে প্রথমে লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার শিশু টিকে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। মাদ্রাসার শিক্ষক আবু বক্করও তার সহযোগী রা জিন তাড়ানোর নামে আমার ছেলের হাতে পায়ে ও শরীরে বেতের আঘাত দিয়ে নির্যাতন করা হয়। আমি প্রশাসনের কাছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই। বর্তমানে
শিশুটি রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কে ব্যবস্থা নিতে বলবো।
এব্যাপারে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কর মুঠোফোনে বলেন, তাকে ওই ভাবে কেউ মারধর করেনি। তবে তার উপর জিনের আছর ছিল। জিন তাড়াতে হয়তো বা মাদ্রাসার শিক্ষকরা তদবির করতে গিয়ে গায়ে আঘাত লেগেছে।