থই থই করা কাপ্তাই লেকের চেঙ্গী নদীর পানি ভরা মৌসুমে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে কারোই, তবে এই সৌন্দর্যর অন্যরূপ দেখা মিলে এই নদীর পানি শুকালেই।
নানিয়ারচর সদর বাজারের ও বসতবাড়ি ময়লা-আবর্জনা ফেলে দেয়া হচ্ছে আবাসিক এলাকায় ও রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের নানিয়ারচরের চেঙ্গী নদীর পানিতে।
উপজেলার সদর বাজারের চারদিকেই থই থই করা লেকের পানি কারণে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই।
পানির শুকনো মৌসুমে দেখা যায় লেকের পাড় গুলোতে ভেসে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনাগুলো। ঝড় বৃষ্টি এলেই বুঝা যায় এ সকল ময়লার তীব্র দুর্গন্ধ।
এতে করে প্রাণ প্রকৃতি হয়ে উঠছে অভিশাপস্বরূপ এবং জনবসতি ও লেকের পাড়ে ময়লা ফেলায় উৎকট গন্ধে শোচনীয় অবস্থা হচ্ছে বসবাস ও যাতায়াতকারী মানুষের জীবনযাত্রা।
বিষয়টি নিয়ে নানিয়ারচর সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন এক জায়গা না থাকার কারণে এ সকল ময়লা আবর্জনা গুলো গ্রামীন টাওয়ার এর পাশের আবাসিক এলাকায় ময়লার স্তুপ করে পুড়িয়ে ফেলা ও অনেকেই লেকের পাড়েই এই ময়লা আবর্জনা ফেলে দেয়। সদর বাজারে মাত্র ৫ টি ডাস্টবিন থাকলেও তার সুষ্ঠু ব্যবহার করা হচ্ছেনা।
এ নিয়ে নানিয়ারচর সদর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা বলেন দীর্ঘদিনের জমা আবর্জনা সমুহ কারণে নানিয়ারচর সদর বাজারের বসবাসরত জনসাধারণের ও প্রকৃতির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন।
উপজেলা প্রশাসন ও বাজার ব্যাবসায়ীদের উদ্যোগে বাজারের আবর্জনা সমুহ ফেলার একটি স্থান করা গেলে সবাই উপকৃত হবে।
এদিকে সদর বাজার এলাকাতেই আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় বাজের মাঝে আবর্জনা সংস্করণ সম্ভব না হলেও বিকল্প জায়গা ও ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ এর কথা বলছেন নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফজলুর রহমান।