খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রি: জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ মাহি বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে খাগড়াছড়ি অঞ্চলের রাজা প্রয়াত মং সার্কেল চীফ মংপ্রু সেইনের অবদান স্মরণযোগ্য। তিনি তাঁর রাজভান্ডার- সৈন্যসামন্ত- টাকাপয়সা- গবাদিপশু সব উজাড় করে দিয়েছেন। মং রাজা মংপ্রু সেইনের জীবন ও কর্ম পাহাড়ের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত করবে।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি ক্যান্ট: পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কর্তৃক আয়োজিত ‘মং রাজা মংপ্রু সেইন শিক্ষাবৃত্তি ও সনদপত্র’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, বিজিবি-খাগড়াছড়ি সেক্টরের অধিনায়ক কর্ণেল মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক খান, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি রিজিয়ন’র জিএসও –টু (আই) মেজর জাহিদ হাসান’র স্বাগত বক্তব্য দিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্রি: জেনারেল মাহি আরো বলেন, উনিশ’শ একাত্তর সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা- জীবন উৎসর্গকারী শহিদগণ- সম্ভ্রমহারা মা বোনদের অবদান কখনো ভোলা যাবে না। তাঁদের রক্ত¯œাত লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত এই দেশের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই যথাসাধ্য অবদান রাখা প্রয়োজন।
‘আমার আলোয় বিকশিত হোক আমার পৃথিবী’ এই শ্লোগানে ২০১৬ সালে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন প্রবর্ত্তিত ‘মং রাজা মংপ্রু সেইন শিক্ষাবৃত্তি ও সনদপত্র’ প্রদানের এই কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। এই উদ্যোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ শুরু থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে’র সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সা. সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়কগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সিভিল সোসাইটি’র প্রতিনিধি. সাংবাদিক এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অধীন ছয়টি উপজেলা বিভিন্ন স্কুল কলেজের ১০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ৫ লক্ষ টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।