দীর্ঘ পথ চলায় এ কে এম মকছুদ আহমেদ সত্য সংবাদ প্রকাশ হতে কখনো নিজেকে বিরত রাখেন নাই বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান। তিনি বলেন, তার লেখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা, সম্ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় তুলে ধরেছেন। তাই এ কে এম মকছুদ আহমেদ এই পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার বাতিঘর।
বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১২টায় সদর উপজেলা পরিষদ মিনি কনফারেন্স হলে তৃণমূল সাংবাদিকতায় বসুন্ধরা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০২১ পদক পাওয়ায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক, পাহাড়ের প্রবীণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদকে সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সংবর্ধিত অতিথি প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান দূর্গেশ্বর চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক পুলক চক্রবর্তী, প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মনসুর আহম্মেদ, সাংবাদিক মিল্টন বাহাদুর, সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু, সাংবাদিক শিশির দাশ বাবলা প্রমুখ।
এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান আরো বলেন, এ কে এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য এলাকায় অশান্তির দাবানল থেকে মুক্ত করতে সেই সময় সাহসিকতার মাধ্যমে সাংবাদিকতা করে গেছেন পাহাড়ে। তাঁর এই আদর্শকে বুকে ধারণ করে এই পার্বত্য অঞ্চলে অনেকেই সাংবাদিকতার পেশায় যুক্ত হয়েছেন এবং বর্তমানে অনেকেই ঢাকার বড় বড় টিভি চ্যানেল পত্রিকায় কাজ করছেন। তাই এ কে এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্যাঞ্চলের সবার কাছে চির স্বরনীয় হয়ে থাকবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজন চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, আজ হতে ৫০ বছর আগে যখন আমি এই অঞ্চলে সাংবাদিকতা শুরু করি তখন আজকের মতো তথ্য প্রযুক্তি উন্নত ছিলো না। ছিলো না কোন ইন্টারনেট সংযোগ। মাইলের পর মাইল হেঁটে আমি সংবাদ সংগ্রহ করেছি, যা সত্য তাহা প্রকাশ করেছি নিঃসংকোচে। কখনোই কারো বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত হয় নাই। সত্য এবং সাহসিকতার সাথে এই পেশায় কাজ করে গেছি। কারোর কাছে মাথা নত হয় নাই। জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে সৎ সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকতা করে গেছি।
সভায় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রবীণ এই সাংবাদিককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।