খাগড়াছড়ির রামগড়ে অন্য সংস্থার তৈরি একটি ঘরকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর সাজিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসনীয় প্রকল্পের সুনাম ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার(৪ এপ্রিল) সরকারি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মমতা আফরিন বলেন, উদ্দেশ্যেমূলক ভুয়া সংবাদ প্রকাশকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারবারিও মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রেসব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মমতা আফরিন বলেন, আজকের পত্রিকা ও ভোরের কাগজ পত্রিকায় রামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম বলিপাড়া এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের পিলার ধসে যুবক আহত শিরোনামে একটি ফটো নিউজ ও রির্পোট প্রকাশ করা হয়।
এরপ্রেক্ষিতে সোমবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানাযায় আলোচ্য ঘরটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোন ঘর নয় এবং এটি নির্মাণের সাথে উপজেলা প্রশাসনের কোন সম্পৃক্ততাও নেই।
এছাড়া ঐ রিপোর্টে দুনীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নি¤œমানের কাজ হওয়ায় পিলার ভেঙ্গে পড়ার কথা বলা হলেও গৃহকর্তা (পঙ্গু) মো: সুমনের ভাস্য অনুযায়ী তার নিজস্ব ইজিবাইকের (টমটম) ধাক্কায় ঘরের বারান্দার ব্রিকসের পিলারটি ভেঙ্গে যায়। এসময় পিলারের আঘাতে তার একটি হাতও ভেঙ্গে যায়।
ইউএনও বলেন, পত্রিকা দুটির রামগড় প্রতিনিধি কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে অন্য সংস্থার তৈরি করা ঘরকে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্ব নন্দিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর আখ্য দিয়ে এবং টমটমের ধাক্কায় ভেঙ্গে যাওয়ার প্রকৃত তথ্য গোপন করে একটি সর্ম্পূন মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেন।
তিনি আরও বলেন, কুচক্রীমহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বর্তমান সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে তথ্য বিকৃত করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছে। মিথ্যা সংবাদ প্রচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, রামগড় উজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পটি ব্যর্থ প্রমাণের হীন উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবেপত্রিকা দুটিতে ভুয়া রির্পোটটি প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
রামগড় উুপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম বলেন, ভোরের কাগজ পত্রিকার কোন প্রতিনিধি সাথে তাঁর কোন কথা হয়নি, অথচ প্রকাশিত রির্পোটে তার বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে।