সোমবার , ৭ আগস্ট ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটিতে টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিভিন্ন স্থানে ধ্বস, নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

প্রতিবেদক
এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
আগস্ট ৭, ২০২৩ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ

 

রাঙামাটিতে টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সদরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় ধ্বসের ঘটনা ঘটছে। এতে সড়ক ও বাড়িঘরসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের ফলে সড়কের ওপর মাটি ধ্বসে পড়ায় সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুতের খুটি হেলে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

এছাড়া উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে প্রবল ¯্রােত বইছে। তবে সম্ভাব্য দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষতি এড়াতে জেলা প্রশাসন জারি করা সব ধরনের নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা সোমবার ভোরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে ফসলি জমি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। অনেক এলাকায় বাড়িঘর তলিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দুর্গত মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং ঝুঁকিতে থাকা দুর্গত লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য মাঠে তৎপর রয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে এসব খবর জানা গেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে রাঙামাটিতে স্বাভাবিক জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টায় ৯৪ মিলিমিটার, শুক্রবার ৭৭ দশমিক ২ মিলিমিটার, শনিবার ১৪৬ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৯১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধ্বস ও মাটি ভাঙন হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, রোববার পর্যন্ত শহরের শালবাগান, দেপ্পোছড়ি, রাঙাপানির যুব উন্নয়ন এলাকা, তবলছিড়, আসামবস্তি, ঝগড়াবিলসহ জেলার ৪৬ স্থানে ছোট বড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি কাপ্তাই উপজেলায় ২৭ স্থানে পাহাড় ও মাটির ধ্বস হয়েছে। এতে কাপ্তাইয়ের ১০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার রাঙামাটি শহরের মুসলিমপাড়া, ভেদভেদী, রুপনগরসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন করে পাহাড়ের মাটি ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে ভেদভেদী মুসলিমপাড়ায় ধ্বসে কয়েকটি বসতবাড়ির পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

শহরের রাঙাপানির যুব উন্নয়ন এলাকায় পাহাড়ধসে সড়ক ধারক দেওয়াল ধ্বসে গেছে। এর ফলে সেখানে নির্মিত একটি বিদ্যুতের খুটি সরে গিয়ে স্থানচ্যুত হওয়ায় শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগের স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক কাজ করায় প্রায় দুই ঘন্টা পর পুনঃসংযোগ স্থাপন করা হয় বলে জানান, রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান।

এছাড়া টানা বর্ষণে জেলা সদরের মানিকছড়ি, বালুখালী, বন্দুকভাঙ্গাসহ নানিয়ারচর, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, রাজস্থলী, বরকল, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বিস্তর ফসলি জমি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়। অনেক এলাকায় পাহাড়ি ঢলে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও সহকারী কমিশনার বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, টানা বর্ষণে সদরসহ জেলায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধস এবং সড়কের ওপর মাটি ধ্বসে পড়ছে। জেলায় ৪৬ স্থানে ধ্বস হয়েছে। আরও নতুন করে ধ্বসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরসহ জেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছেন ৩ হাজার ৫০৯ পরিবার। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিতে থাকা ওইসব পরিবারের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।

জেলায় মোট ২৩৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের জন্য থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা করা আছে। এসব কেন্দ্রের এ পর্যন্ত ২৪টিতে প্রায় ২ হাজার অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তৎমধ্যে রাঙামাটি শহরের ৫টি কেন্দ্রে প্রায় ৬০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। শহরে মোট ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলার প্রত্যেক উপজেলায় খোলা আশ্রয় কেন্দ্রে যে কোনো দুর্যোগে দুর্গত লোকজনদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, জেলা যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কোথাও সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক সরানোর জন্য কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া আছে। যে কোনো দুর্ঘটনা বা দুর্যোগ ঘটলে তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। আমি ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠে তৎপর রয়েছি। ঝুঁকিতে থাকা ও দুর্গত লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। মাইকং করে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে একই কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের মশাল হস্তান্তর ও আত্মিক উদ্দীপনা সভা অনুষ্ঠিত

কাউখালীর ঘাগড়া কিন্ডার গার্টেন স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

খাগড়াছড়িতে ৩০ লাখ টাকা চুক্তিতে আওয়ামীলীগ নেতার পুকুর ভরাট, ভাগ পেলেন সব দলের নেতা

পাহাড়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কঠিন চীবর দানোৎসবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে প্রশাসন

কল্পনা অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজির শুনানী অনুষ্ঠিত ; আদেশ দেননি আদালত

লংগদু জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষুধ বিতরণ

রামগড়ে কৃষি জমির মাটি কাটায় দুই লাখ টাকা জরিমানা 

জুরাছড়িতে ঈদ উপলক্ষে নগদ অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ 

নানিয়ারচরে বিজয় দিবস উদযাপন

ঈদ ও বিজু উৎসব নিয়ে জেলা পুলিশের আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

%d bloggers like this: