পূর্বের শত্রুতার জের ধরে টিউবওয়েলের ভিতরে বিষাক্ত সাপের মাথা ঢুকিয়ে দিল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা। এধরনের ঘটনা ঘটেছে বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন আমতলী ইউনিয়নের ৭নংওয়ার্ড চুরাখালী গ্রামে।
গত ১৯ আগষ্ট ২০২৩ রাতে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আমতলী চুরাখালীর এমদাত হোসেনের বসতভিটার টিউবওয়েলের মধ্যে বিষাক্ত সাঁপের মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে চলে যায়। সকালে এমদাতের স্ত্রী আলে নুর বেগম পানি আনতে গেলে পানির সাথে বিষাক্ত সাঁপের লালা দেখতে পায়। তখন বিষয়টি এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এব্যাপারে এমদাত হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একটি অভিযোগ করেন ওসি বাঘাইছড়ি থানা বরাবরে।
অভিযোগকারী এমদাত হোসেন বলেন, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের প্রতিবেশী বাবুল মিয়া, মোছাঃ রানী বেগম, মোঃ রুবেল ও সাইফুল বিবাদীরা সন্দেহজনক ভাবে এই কাজ করতে পারে। এমন অভিযোগ এনে গত ২০ আগষ্ট ২০২৩ বাঘাইছড়ি থানায় অভিযোগ দাখেল করি। আমার অভিযোগটি বাঘাইছড়ি থানার ওসি তদন্ত করতে পাবলাখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইকে দায়িত্ব প্রদান করেন। বিগত ২৭/১১/২০২২ বিবাদীরা অবৈধ ভাবে আমার বসতভিটার গাছপালা কেটে নিয়ে গেছে।
ওই ব্যাপারেও আমি উক্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাঘাইছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দিয়ে ছিলাম কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই অভিযোগের হদিস পেলাম না। যদি ওই অভিযোগের তদন্ত হতো বা বিবাদীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো তাহলে এঘটনার পূর্ণাবৃত্তি ঘটতো না। এমদাত আরো বলেন,আমার অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীরা এলাকায় প্রভাবশালী ও বৃত্তশালী। তাদের ভয়ে ও অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। তারা সব সময় আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
এব্যাপারে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইশতিয়াক আহম্মদ মুঠোফোনে বলেন, আমতলী চুরাখালীর এমদাত হোসেন নামের এক ব্যক্তি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। সেটি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পাবলাখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।