রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৩১ আগষ্ট রাত ১২টার পরে কাপ্তাই হ্রদের মাছ ধরার উপর সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞার আরোপ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিন দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর ১ সেপ্টেম্বর হতে মাছ ধরা, বিপনণ, সরবরাহ ও পরিবহন শুরু হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল থেকে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইঞ্জিন চালিত ছোট বোট দিয়ে মাছ নিয়ে আসে জেলেরা। ওই মাছ ল্যান্ডিংয়ে তুলে হিসাব নিকাশ শেষে বরফ দিয়ে ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে গত বারের চেয়ে এবার মাছ কম ধরা পড়েছে। জেলেরা ও ব্যবসায়িরা বলছে, গত বার প্রথম যে দিন মাছ ধরা চালু হয়েছিল সে দিন বিপুল পরিমান মাছ ধরা পড়েছে। তার মধ্যে চাপিলা ও কাচকি মাছ বেশি ধরা পড়েছে। এভাবে মাছ কম ধরা পড়লে আমাদের ব্যবসায় লোকসান হবে। এক ট্রাক মাছ রাঙামাটি থেকে ঢাকায় পৌছাতে অনেক টাকা খরচ। এত কম মাছ ধরা পড়লে লোকসান গুনতে হবে।
মৎস্য কপোরেশনরে ব্যবস্থাপক বলেন, জেলেরা বলছে গতবারের চেয়ে এবার প্রথম দিনে অনেক কম মাচ ধরা পড়েছে। গত বছর বিপুল পরিমান মাছ ধরা পড়েছিল। বড় মাছের চেয়ে ছোট জাতের মাছ বেশি ধরা পড়েছে। কাচকি মাছ ও চাপিলা মাছ বেশী ধরা পড়ছে। তবে সামান্য আইর মাছ ধরা পড়েছে। হ্রদের পানি কমলে হয়তো বা মাছ ধরার পরিমান বাড়তে পারে।
জেলা প্রশাসনের সভার সিদ্ধান্ত অনযায়ী বলবৎ এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে ১ সেপ্টেম্বর এদিন রাত ১২টার পর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছধরা উন্মুক্ত হয়ে যাবে এর আগে ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় পূর্ব নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছিল। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হসেন খান বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন,বংশবৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে চলতি বছর ২৫ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ২৫ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু সেসময়ে মা মাছ পোনা ছাড়লেও সেগুলো ছোট থাকায় হ্রদে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।