রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি উপজেলা রাজস্থলীতে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা মারাত্মক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। ৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ২৫টিতে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। ফলে বিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনিক দুর্বলতা ও পাঠদানে বড় ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অধিকাংশ সময় সহকারী শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে প্রশাসনিক কাজ ও পাঠদান একসঙ্গে পরিচালনা করায় সমস্যা গুরত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাছাড়া উপজেলা জুড়ে সহকারী শিক্ষকের ৫২টি বিদ্যালয়ের, ৬২জনের শূন্য পদ রয়েছে, যা বিদ্যালয় পরিচালনায় বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
শীলছড়ি, নারাইছড়ি, চিংখ্যং, ম্রংওয়া পাড়া, ছাগলখাইয়া, পোয়াইতু পূর্ণবাসন, ধুলিয়া মুসলিম পাড়া, ডাকবাংলা পাড়া, পাবনটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য থাকার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে রাজস্থলী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শূন্যপদ দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, উপজেলার মোট ৫২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫টিতে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই, এবং সহকারী শিক্ষক ও ৬২ জনের শূন্য পদ রয়েছে।।
এলাকার অভিভাবকরা জানান, “প্রাথমিক শিক্ষা শিশুর জীবনের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যদি এখানে শিক্ষার মানে ঘাটতি থাকে, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গঠন দুর্বল হবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, “প্রশাসনিক কাজ ও পাঠদান একসঙ্গে চালানো অত্যন্ত কঠিন, যার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।”
শিক্ষক সংকট দ্রুত সমাধান না হলে উপজেলা জুড়ে প্রাথমিক শিক্ষার মান হ্রাস পাবে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হয়ে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ করতে পারলে আমাদের রাজস্থলী উপজেলা শিক্ষা মান উন্নয়ন আরো বাড়বে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তাজরুল ইসলাম বলেন, “৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে ৬২ জনের মধ্যে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে এসব পদ পূরণ হবে। এতে শিক্ষার মান ও উন্নয়ন হবে।”