খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভার দক্ষিণ গর্জনতলী ৩নং পৌর ওয়ার্ডে অবস্থিত হামিদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক দ্বারা এক ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বলাৎকারের শিকার হওয়া ওই ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায় উক্ত মাদ্রাসায় সে ১ বছর ধরে পড়াশোনা করছে এবং বর্তমানে হেফজ বিভাগের ছাত্র।
মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহার তাকে হাত-পা টিপতে বলতো, এক পর্যায় কিছু দিন পূর্বে তাকে ওই শিক্ষক বলাৎকার করে এবং গত ১৪ই আগস্ট ২০২২ (সোমবার) তাকে পুনরায় বলাৎকার করলে সে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ মাওলানা মোবারক হোসেনকে বিষয়টি জানায়।
বলৎকারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহার পালিয়ে যান।
মাদ্রাসা সুত্রে জানা গেছে শিক্ষক হাবিবুল্লা বাহার চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার হলুদিয়া, সৈনিক পাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে, সে ১ বছর ধরে অত্র মাদ্রাসায় হাফেজ হিসেবে চাকরি করছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্র আরো জানায়, বলাৎকার কাজে বাঁধা দিলে তাকে নানা রকমের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নিয়মিতভাবে বলাৎকার করেই আসছে। বর্তমানে ওই ছাত্র খুবই অসুস্থ ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছে। তার পায়ুপথ দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে ও ভীষণ পেটে ব্যাথা অনুভব করছে। এঘটনার সত্যি বলে মাদ্রাসার সকল ছাত্র জানিয়েছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
উক্ত বিষয়টি ওই ছাত্র তার মাকে জানালে, মা মাদ্রাসার কমিটির কাছে বিচার দিলে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ বসে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান।
দক্ষিণ গর্জনতলীর স্থানীয় বাসিন্দা এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক। এটার কঠিন শাস্তি হওয়ার প্রয়োজন।
রামগড় দক্ষিণ গর্জনতলী হামিদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোবারক হোসেন জানান, ছাত্রকে বলাৎকারের বিষয়টি আমাকে আজ জানিয়েছেন। আমাকে জানানোর পর শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহার টের পেয়ে সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, আমি কমিটির সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসবো এবং শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহারকে কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায় সে ব্যবস্থাই করা হবে।।