রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রীজ পাড়ায় ইউপিডিএফ প্রসিত দলের দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা(৪০)ও আশিষ চাকমা(৩৫) দুজনকে গুলি করে হত্যা করেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসিরা। গতকাল রোববার দুপুর ২টায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সাজেক থানার পুলিশ।
লংগদু ও বাঘাইছড়ি থানার (সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল চৌধুরী হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসিদের গুলিতে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রæপের দুইজন নিহত হয়েছে। সংবাদ পাওয়ার পরপরই সাজেক থানা থেকে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এদিকে আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রæয়ারি তিন দিনের সফরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাব উদ্দিন চুপ্পু সাজেকে যাওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে এধরণের হত্যাকান্ডের মূলে কারা রয়েছে,এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তবে ইউপিডিএফের দাবি জেএসএস (সন্তু)লারমা’র লোকজন এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। তবে ইউপিডিএফ অভিযোগ অস্বীকার করে।
জেএসএস (সন্তু)লারমা দলের বাঘাইছড়ি থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা বলেন,সাজেক এলাকায় জেএসএসের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম নাই। ইউপিডিএফ এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ভুয়া। নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে, ইউপিডিএফ তারা হলেন-আশিষ চাকমা (৪৫) পিতাঃ মৃত শান্তি কুমার চাকমা,গ্রাম মোরঘোনা২নং ওযার্ড, ৩৪নং রুপাকারি ইউনিয়ন,বাঘাইছড়ি,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।অপর একজন দিপায়ন চাকমা(৩৮) পিতা মৃত অনিল বরণ চাকমা গ্রাম উত্তর এগুজ্জ্যাছড়ি, ৫নং ওযার্ড, ৩৬নং সাজেক ইউনিয়ন, বাঘাইছড়ি উপজেলা,জেলা রাঙামাটি।
পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ (বিপিএম বার) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুঠো ফোনে জানান,বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাসালং এলাকায় গোলাগুলিতে ২জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙামাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমা জেলার সাজেক ইউনিয়নের মাসালং এলাকায় জেএসএস সন্তু গ্রæপের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা নিরন চাকমা এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা এই হত্যার ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক আখ্যায়িত করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ে ইউপিডিএফের চলমান আন্দোলন বানচাল করে দেয়ার লক্ষ্যে শাসকগোষ্ঠি পরিকল্পিতভাবে সন্তু গ্রুপ সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে প্রতিনিয়ত ইউপিডএফ নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে।