চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটি চাপটা পিঠা, সাইন্না পিঠা, কলা পিঠা, পুলি পিঠা, নারকেল নাড়ু সহ ৬০ পদের হরেক রকম পিঠা এবং মিষ্টি মোয়ার সমাহার। সেই সাথে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পীদের নৃত্য, গান এবং যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশনা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা সদর শিশু পার্কে বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো
বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব ১৪৩০। এই উৎসবে পিঠার সমাহার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুগ্ধ আগত দর্শক।
কাপ্তাই উপজেলা অফিসার্স ক্লাব, লেডিস ক্লাব এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এই উৎসবে ৯ টি স্টলে হরেক রকম পিঠা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব এর অন্যতম আর্কষণ ছিল কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাচিক শিল্পী নুর মোহাম্মদ বাবু ও খোদেজা আক্তার ভাষার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা ঢোল পরিবেশন করে দর্শকদের আনন্দে ভাসান প্রখ্যাত ঢোল বাদক শিবু জলদাস। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সমবেত যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশনা অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত করে। একক ও দ্বৈত গানে বেতার ও টিভি শিল্পী মো: রফিক, রওশন শরীফ তানি, জ্যাকলিন তনচংগ্যা, মুক্তাদির আহমেদ শাহীন, মংচাই মারমা, বসুদেব মল্লিক, লিপি দাশ এবং সোনমের পরিবেশনা ছিল মনে রাখার মতো।
সঙ্গীতা দত্ত এ্যানির পরিবেশনায় এক ঝাঁক শিশু শিল্পীদের সমবেত নৃত্য পরিবেশনা আগত দর্শক উপভোগ করে তুমুল করতালিতে। এছাড়া মারমা নৃত্য, তনচংগ্যা নৃত্য এবং বোতল নৃত্য পরিবেশনা উৎসবকে রাঙিয়ে তোলে বহুগুণ।
অনুষ্ঠানে একক বাঁশি পরিবেশন করে দর্শকদের প্রশংসায় ভাসেন বেতার ও টিভি শিল্পী মৃত্যুঞ্জয় দাশ। এছাড়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের সমবেত কন্ঠে বসন্ত ও পিঠার গান পরিবেশন ছিল চোখে পড়ার মতো।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মহিউদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ পিঠা, পায়েস এবং ঋতু কেন্দ্রীক উৎসব । তাই বাঙালীর এই ঐতিহ্য যাতে হারিয়ে না যায়, সেই জন্য বসন্ত উৎসব এবং পিঠা উৎসব এর আয়োজন।
এসময় কেপিএম লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত এমডি প্রকৌশলী মো: মইদুল ইসলাম , কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা, চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ সভাপতি ডা: প্রবীর খিয়াং, সহ সভাপতি খোরশেদুল আলম কাদেরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এর সাবেক কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সহ কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, লেডিস ক্লাবের সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্য ও সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।